ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণের টাকা আত্মসাতকারীদের গুলি করা উচিত: হাইকোর্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • ১৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জনগণের টাকা আত্মসাতকারীদের ‘শুট ডাউন’ বা গুলি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচার মামলার আসামি, ব্যাংকটির রাজধানীর শান্তিনগর শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর জামিন শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

শুনানির সময় আদালত বলেন, ‘অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না?’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে আদালত বলেন, ‘কেন চার্জশিট দিচ্ছেন না? অর্থ লুটপাট ও পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল হওয়া উচিত। যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘‘শুট ডাউন’’ করা উচিত। এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

আদালত  এ সময় আরও বলেছেন, ‘যারা বেসিক ব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, পাচার করেছে তাদের ‘‘শুট ডাউন’’ করা উচিত।’

আজ বেসিক ব্যাংক দুর্নীতির মামলায় মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা তিন মামলায় তাকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত তার বিরুদ্ধে হওয়া ছয়টি মামলার তদন্তকাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এসময় পাঁচ বছরেও বেসিক ব্যাংকের ৫৬ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া এবং অভিযোগপত্র না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত।

বেসিক ব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় হওয়া সব মামলার সবশেষ অগ্রগতি তথ্য আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুদককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন বলেন, ‘পাঁচ বছর পার হলেও দুদক মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে না। বিচারকাজও শেষ হচ্ছে না।’

বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে তিনি ১৫টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। অন্য চারটি মামলা জামিন আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় মামলা হয়। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনগণের টাকা আত্মসাতকারীদের গুলি করা উচিত: হাইকোর্ট

আপডেট টাইম : ১২:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জনগণের টাকা আত্মসাতকারীদের ‘শুট ডাউন’ বা গুলি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচার মামলার আসামি, ব্যাংকটির রাজধানীর শান্তিনগর শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর জামিন শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

শুনানির সময় আদালত বলেন, ‘অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না?’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে আদালত বলেন, ‘কেন চার্জশিট দিচ্ছেন না? অর্থ লুটপাট ও পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল হওয়া উচিত। যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘‘শুট ডাউন’’ করা উচিত। এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

আদালত  এ সময় আরও বলেছেন, ‘যারা বেসিক ব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, পাচার করেছে তাদের ‘‘শুট ডাউন’’ করা উচিত।’

আজ বেসিক ব্যাংক দুর্নীতির মামলায় মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা তিন মামলায় তাকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত তার বিরুদ্ধে হওয়া ছয়টি মামলার তদন্তকাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এসময় পাঁচ বছরেও বেসিক ব্যাংকের ৫৬ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া এবং অভিযোগপত্র না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত।

বেসিক ব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় হওয়া সব মামলার সবশেষ অগ্রগতি তথ্য আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুদককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন বলেন, ‘পাঁচ বছর পার হলেও দুদক মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে না। বিচারকাজও শেষ হচ্ছে না।’

বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে তিনি ১৫টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। অন্য চারটি মামলা জামিন আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় মামলা হয়। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়।