ড. গোলসান আরা বেগমঃ
যাবে দাদু ভাই
আমার সেই ছোট্ট গাঁয়ে
যেখানে আলো ছায়ার ভালোবাসা
আছে সবুজ ঘাসে শুয়ে।
সেথায় আছে শাপলা পুকুর
সোনারোদে ভরপুর দিন দুপুর
ঘরের পাশে গড়ায় রাতের জোছনা
বলো যাবে,করবে না মানা।
দাদা তুমি কথা দাও
শাপলা বিলে ভাসাবে সোনার বৈঠা নাও
যেখানে যাবে যাও
আমি যাবো সঙ্গে যদি চাও।
দাদু তুমি কথা দাও যাবে
যাদুর বাঁশির গান শুনাবো
চন্দ্রাবতির ট্রাজেটিক প্রেম কাহিনী শুনাবো
ঈশা খাঁ মানসিংহের যুদ্ধস্থল
এগার সিন্দুর নিয়ে যাবো।
তোমাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যাবো
মানুষের মনোবাসনা পূরণ করে মানত করলে,
কোটি কোটি টাকার দান বাক্স যেখানে,
সেই পাগলা মসজিদ দেখাবো
সোয়া লাক মানুষ ঈদের নামাজ পড়ে
জন্ম দিয়েছে শোলাকিয়া ঈদের মাঠে
অষ্ট্রগামের বিখ্যাত পনীর খাওয়াবো।
ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির খনি
কিশোরগঞ্জ,তারে নিয়ে গর্ব করি
তাইরে নাইরে করে ঘুরে দেখাবো
দিল্লীর আখড়া,ছড়াকার সুকুমার রায়ের
গ্রামের বাড়ী,মশুয়া গ্রামে
যদি যাও দাদা ভাইরে।
পানি থৈ থৈ করে হাওরের গ্রামগুলো
দ্বীপের মতো ভেসে থাকে জল বেস্টুনীতে
আকাশ নুয়ে এসে পানির সাথে
করে মিতালী
উদার হওয়ার দোলুনি দেবে তোমায়।
দাদু তুমি তো শুধু ফাস্ট ফুড খাও
এসি ঘরে,গাড়িতে, ক্লাসে জীবন সাজাও
বাসি পান্তা খেয়ে, জোনাক ধরে
কাদা গোসলের খেলায় মেতে শিশুরা
কি যে মজা পায় দেখে যাও।
নরম মাটির গতরে তোমার মত শিশুরা
কাগজের নাও জলে ভাসিয়ে,
পুতুল খেলা ভেঙ্গে দিয়ে
মার্বেলের খেলার গর্তে রেখে
প্রানের উষ্ণতা, ঘরে ফিরে মলিন মুখে
বিস্ময়ে অবাক হবে,
তাদের কাব্যকথা তোমার সঙ্গী হবে।