ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমন ধানের মৌসুম ৪২ টাকায় চাল, ২৮ টাকা দরে ধান কিনবে সরকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
  • ২১১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে আট লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। প্রতি কেজি চাল ৪২ ও ধান ২৮ টাকা দরে কেনা হবে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আগামী ১০ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, এ বছর পাঁচ লাখ টন চাল ও তিন লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা ও ধান ২৮ টাকায় কেনা হবে। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে কেনা।

এর আগে গত বছরে আমন দানের মৌসুমে  ২৭ টাকা কেজি দরে ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে চাল কিনেছিল সরকার।

ধান ও চালের দাম নির্ধারণে কৃষকের স্বার্থ দেখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তিন-চার বছর ধরে মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে কোনো ধান কেনা হচ্ছে না। যেমন আমরা অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের থেকে ধান ক্রয় করি, আবার কৃষকের তালিকা ধরে লটারির মাধ্যমে সংগ্রহ করি। টাকাও সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে চলে যায়। এখানে মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো সুযোগ নেই।

বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সবকিছু আমাদের মাথায় আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। আমাদের প্রস্তুতি আছে। বাংলাদেশে খাদ্যসংকট হবে বলে মনে করি না।

ওএমএসের আটায় আট টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি না এ বিষয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, এমন কোনো প্রস্তাব হয়নি। বৃদ্ধিও করা হয়নি। প্রতি কেজি আটার দাম ১৮ টাকাই আছে। সরকারি আটার দাম না বাড়ানোর কারণ হলো, অন্ততপক্ষে যারা নিম্ন আয়ের তাদের জন্য এটা সহায়ক হবে।

আমনের লক্ষ্যমাত্রা ও উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমন আমাদের একটা বড় ফসল। এখন অবশ্য বোরো অনেক বেশি হয়েছে। দুই কোটি টন বা তার বেশি বোরো হয়। আমন হয় এক কোটি ৫০ টনের মতো। এ বছর শ্রাবণ মাসে একদিন বৃষ্টি হয়েছে। আমরা এটি নিয়ে খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই চিন্তিত ছিলাম যে ধান লাগানো যাচ্ছে না। আমন হলো ফটোসেনথেটিক। দিন ছোট হয়ে এলে আমন ধানে ফুল এসে যায়, ফুল আসলেই উৎপাদন কমে যায়। ধান বড় হতে পারে না। কিন্তু একদম শেষ দিকে কৃষকরা সেচ নিয়ে নানাভাবে মোটামুটি চাষ করেছেন।

প্রকৃতি সহায়ক হলে বোরোতেও কোনো ঝুঁকি আসবে না বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আমন ধানের মৌসুম ৪২ টাকায় চাল, ২৮ টাকা দরে ধান কিনবে সরকার

আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে আট লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। প্রতি কেজি চাল ৪২ ও ধান ২৮ টাকা দরে কেনা হবে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আগামী ১০ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, এ বছর পাঁচ লাখ টন চাল ও তিন লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা ও ধান ২৮ টাকায় কেনা হবে। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে কেনা।

এর আগে গত বছরে আমন দানের মৌসুমে  ২৭ টাকা কেজি দরে ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে চাল কিনেছিল সরকার।

ধান ও চালের দাম নির্ধারণে কৃষকের স্বার্থ দেখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তিন-চার বছর ধরে মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে কোনো ধান কেনা হচ্ছে না। যেমন আমরা অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের থেকে ধান ক্রয় করি, আবার কৃষকের তালিকা ধরে লটারির মাধ্যমে সংগ্রহ করি। টাকাও সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে চলে যায়। এখানে মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো সুযোগ নেই।

বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সবকিছু আমাদের মাথায় আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। আমাদের প্রস্তুতি আছে। বাংলাদেশে খাদ্যসংকট হবে বলে মনে করি না।

ওএমএসের আটায় আট টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি না এ বিষয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, এমন কোনো প্রস্তাব হয়নি। বৃদ্ধিও করা হয়নি। প্রতি কেজি আটার দাম ১৮ টাকাই আছে। সরকারি আটার দাম না বাড়ানোর কারণ হলো, অন্ততপক্ষে যারা নিম্ন আয়ের তাদের জন্য এটা সহায়ক হবে।

আমনের লক্ষ্যমাত্রা ও উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমন আমাদের একটা বড় ফসল। এখন অবশ্য বোরো অনেক বেশি হয়েছে। দুই কোটি টন বা তার বেশি বোরো হয়। আমন হয় এক কোটি ৫০ টনের মতো। এ বছর শ্রাবণ মাসে একদিন বৃষ্টি হয়েছে। আমরা এটি নিয়ে খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই চিন্তিত ছিলাম যে ধান লাগানো যাচ্ছে না। আমন হলো ফটোসেনথেটিক। দিন ছোট হয়ে এলে আমন ধানে ফুল এসে যায়, ফুল আসলেই উৎপাদন কমে যায়। ধান বড় হতে পারে না। কিন্তু একদম শেষ দিকে কৃষকরা সেচ নিয়ে নানাভাবে মোটামুটি চাষ করেছেন।

প্রকৃতি সহায়ক হলে বোরোতেও কোনো ঝুঁকি আসবে না বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।