হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্রিমিয়ান ব্রিজে হামলার পর ইউক্রেনের অন্তত ১০টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, রাশিয়া আত্মরক্ষা করবে। এ বিষয়ে ‘কারও কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়’।
সোমবার সকালে পুতিন ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন শহরে একটি সুদূরপ্রসারী সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর পর রুশ যুদ্ধবিমানগুলো রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি শহরে সামরিক ও প্রশাসনিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে বিস্তৃত হামলা শুরু করেছে। রাশিয়ার হামলায় দেশব্যাপী অন্তত ৯ জন নিহত এবং একাধিক শহরে বিদ্যুৎ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা বন্ধ হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
পুতিন বলেন, এ হামলা একটি বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ছিল, যা সপ্তাহান্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাশিয়ান সেতুতে আঘাত করেছিল, যাকে তিনি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলেছেন।
ইউক্রেন রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে থাকলে তিনি আরও হামলার হুমকি দিয়েছেন।
পশ্চিমে লভিভ থেকে দক্ষিণে মাইকোলাইভ এবং উত্তর-পূর্বে খারকিভ পর্যন্ত একাধিক হামলা শীতকাল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্টতই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সুবিধাগুলোকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। বিস্ফোরণগুলোর মধ্য কিয়েভের বিল্ডিংগুলোর জানালাগুলোকে উড়িয়ে দিয়েছে, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং এমন সময়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে, যখন অনেকে স্কুল বা কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। আক্রমণগুলো প্রমাণ করে যে, রাশিয়ার এখনো ইউক্রেনের গভীরে আঘাত হানার এবং নাগরিকদের আতঙ্কিত করার ক্ষমতা রয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা পর অন্তত দুটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন কিয়েভের বিবিসি সংবাদদাতা। ওলেক্সি কুলেবা টেলিগ্রামে শহরটির বাসিন্দাদের পাঠানো বার্তায় বলেছেন, ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অর্থাৎ প্রতিরক্ষা কাজ করছে, কিন্তু আগে জারি করা ‘সতর্কতা’ এখনো বহাল রয়েছে। এর পর দুপুরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্রে নতুন করে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা তাসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শহরের শেভচেঙ্কো জেলার তেরেশেঙ্কোভস্কায়া স্ট্রিটে সংঘটিত নতুন করে বিস্ফোরণ হয়েছে। জায়গাটি ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা পরিষেবা ভবনের কাছাকাছি অবস্থিত।