অধ্যক্ষ গোলসান আরা বেগমঃ
মা আমার সহজ সরল বোকা
কাজে অকাজে সবাই দেয় ধোকা
সবার জন্য প্রাণ কাঁদে মা’র
সকল সুখে দুঃখে সাথী আমার।
মা আমার হৃদয় খুলে দিতে পারে
এতো দিয়ে কি পেয়েছো মা’রে
ফুলের মতো হাসতে পারো দুঃখ শোকে
প্রণাম জানাই রাখি তোমারে ভরে বুকে।
আমার মা ভরসার বটবৃক্ষ মাথার ছায়া
দু’চোখে তার টলমল মায়ার কায়া
আগুন হজম করে বলে ভালো আছি
দুঃখ সয়ে কপালে মারে মশা মাছি।
আমার মা আলোর দ্রুতি ধ্যৈর্যের বাতিঘর
কথায় কাজে অতুলনীয় ফুলের মত সুন্দর
নীল কষ্ট আঁচলে ঢেকে বলে ভালো আছি
শরীর ভর্তি অসুখেও বলে নেই কাশি হাছি।
আমার মা সবার মা’র মত চরম মিথ্যেবাদী
অকালে মরতো না নিজের জন্য ভাবতো যদি
শরীর ভালো নেই তবু মুখ ভরা হাসি
সবাইকে দিয়ে ফাঁকি বাজায় সুখের বাঁশি।
মা আমার শান্তি সুখের বেহেশতের ফুল
সাহস হারায় না ভেঙ্গে গেলে বুকের দু’কূল
সুখ কুড়ায় সংসারের জিলাপি প্যাঁচে হাঁটে
সর্বদা স্বামী সন্তানের সুখের পেছনে ছুটে।
মা’রে তোর চোখে পায়ের নীচে স্বর্গসুখ
বেহেশতের চাবি খুঁজে জুড়াই বুক
তোমার দুঃখ ব্যথা বুঝি না মা’রে
এমন সন্তান কেন জন্ম দিলে আমারে।