মো. মামুন চৌধুরীঃ হবিগঞ্জের হাওর এলাকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকার প্রধান অবলম্বন গবাদিপশু। তবে গেল বন্যায় হাওরের ফসল ভেসে গেছে, সেই সঙ্গে গেছে গো-খাদ্যও। হাওর পারের মানুষ এখন গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরুর প্রধান খাদ্য খড়ের মূল্য তিন মাস আগে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা মণ বিক্রি হলেও বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। খড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গবাদিপশুর অন্যান্য খাবারের দামও।
দানাদার গো-খাদ্য আগে বিক্রি হত প্রতি বস্তা ১ হাজার ১৫০ টাকায়। এখন এক বস্তা খাবারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। সরিষার খৈল ও ফিড ৪০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকায়।
খড় বিক্রেতা ফজর আলী বলেন, ‘বন্যায় আমন ধানের ক্ষতি হওয়ায় খড়ের সংকট দেখা দিয়েছে। বাইরে থেকে খড় কিনে এনে বিক্রি করতে হয়, তাই দাম বেড়েছে।’
কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘৩৫০ টাকার খড় ৮৫০ টাকা হওয়ায় ১০টি গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছি। শুধু খড় নয় বাজারে বেড়েছে অন্যান্য গো-খাদ্যের দামও।’
আব্দুস সহিদ নামের এক খামারি বলেন, ‘৮০০ টাকা দরে ৩০ মণ খড় কিনেছি। এভাবে গো-খাদ্যের দাম বাড়তে থাকলে পেশা পরিবর্তন করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘বন্যার কারণে গো-খাদ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ সংকট মোকাবিলায় আমরা কাজ করছি। সরকারের পক্ষ থেকে ঘাস চাষের জন্য খামারিদের উদ্বুদ্ধ করছি। তাদের ঘাসের বীজও সরবরাহ করা হচ্ছে।’