হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে হাজার হাজার বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। কয়েক বছর ধরে চলে সেই স্টেডিয়াম তৈরিসহ নানা কর্মযজ্ঞ। তবে অভিযোগ উঠেছে, বিশ্বকাপ শুরুর আগেই জোর করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকদের।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত ২৫ জন শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি। প্রায় তাদের সবার অভিযোগ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
এমনকি দেওয়া হচ্ছে না তাদের বেতনভাতা এবং অন্যান্য পাওনা। অনেকে বলছেন, তারা দরিদ্র পরিবার থেকে ধার-দেনা করে কাতারে গিয়েছেন ভাগ্য বদলের আশায়। চাকরি স্থায়ী করার জন্য দালালকে লাখ রুপি পর্যন্ত দিয়েছেন।
প্রবাসীরা বলছেন, অনেকে দুই বছরের চুক্তিতে আসলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এমন অস্থায় দেশে ফিরে গেলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
বিশ্বকাপে স্টেডিয়াম তৈরি থেকে শুরু করে ঝুঁকিপূর্ণ সব কাজ আমাদের দিয়ে করানো হয়েছে। তবুও কারও কাছে মূল্য পাইনি। বিশ্বকাপ তো বড়লোকদের জন্য।
শঙ্কায় থাকা এক প্রবাসী জানান, ১২ বছর ধরে কাতারে কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি বিশ্বকাপের কাজে যুক্ত হন। তার অভিযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ সব কাজ করানো হলেও তাদের কোনো মূল্য দেওয়া হয় না। বিশ্বকাপ বড়লোকদের জন্য বলেও আক্ষেপ করেন তিনি।
এমন অভিযোগের বিষয়ে কাতার সরকার জানায়, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার এমন কোনো শর্ত দেয়নি যে বিশ্বকাপের আগেই ফেরত পাঠাতে হবে প্রবাসী শ্রমিকদের। এ নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে কাতার সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন মানবাধিকার বিভিন্ন সংস্থা। দ্রুত কর্মীবান্ধব ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
কাতার-২০২২ বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়াম তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে সবচেয়ে বেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং নেপাল থেকে।