হাওর বার্তা ডেস্কঃ মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগে সরকার অনুমোদন দেওয়া সত্ত্বেও বাড়ছে না গতি। গতি বাড়াতে নিয়োগ কর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।
মন্ত্রী বলেছেন, সরকার শুধুমাত্র নিয়োগ কর্তাদের ৪,০০,০০০ কোটার সমাধান এবং অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে। এখন নিয়োগকারীদের দায়িত্ব বিদেশি কর্মী নিয়োগ ত্বরান্বিত করা।
অনেকের ধারণা মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সমস্যা আছে কিন্তু মন্ত্রণালয়ে এখন আর কোনো সমস্যা নেই। মন্ত্রণালয়, উৎস দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতা স্মারক এবং কোটা বা অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত আমরা শুধুমাত্র (বাস্তবায়ন) করি।
২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মেনারা মানিকভাসাগামে মিট দ্য কাস্টমার ডে প্রোগ্রামে, সংবাদ সম্মেলনে মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত, আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না যে কোনো দেশে আমাদের নিয়োগ করতে হবে। কারণ আমাদের প্রায় ১৪টি উত্স দেশ রয়েছে। অনেক লোক এই বিষয়ে সচেতন, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র বিশেষ অনুমোদন দেয় এবং নিয়োগকর্তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিকদের ভাষা, ধর্ম এবং সংস্কৃতির কারণে নিয়োগকর্তারা প্রায়শই বেছে নেন। তবে তিনি নিয়োগকর্তাদের অন্যান্য দেশ থেকেও কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানান।
শুধু একটি দেশের ওপর নির্ভর করবেন না, কারণ যখন আমরা একটি দেশের ওপর নির্ভর করি, তখন আমরা যখন সমঝোতা স্মারকগুলো নিয়ে আলোচনা করি তখন অনেক শর্ত সেট করা হয় বলে জানান তিনি।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর সারাভানান বলেন, সরকার শ্রম সরবরাহের জন্য শ্রীলংকা সরকারের সরকারি আবেদন অনুমোদন করেছে এবং বর্তমানে দেশটিকে প্রভাবিত করছে এমন অর্থনৈতিক সংকটের পরে ১০,০০০ কর্মী কোটার জন্য আবেদন করেছে।
এদিকে রেস্তোরাঁগুলোতে অপর্যাপ্ত কর্মীদের সমস্যা সম্পর্কে মন্তব্য করে সারাভানান বলেছিলেন আগামী সপ্তাহে সমস্যাটি সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আগে কিছু পক্ষ বিতর্ক করেছিল যে, আমরা কেবল ২৫টি এজেন্সি সীমিত করেছি কিন্তু এখন আমরা সেগুলো বাড়িয়েছি। মন্ত্রিসভা ১০০টি এজেন্সি (বাংলাদেশ থেকে) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭৫টি এজেন্সি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ১০ হাজার শ্রীলংকান কর্মী প্রবেশের সাথে জড়িত মোট সংস্থার ্ধিত হতে হবে বলেও জানান মানবসম্পদমন্ত্রী।