বি. চৌধুরীর বিশেষ প্রস্তাব

সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর করার প্রস্তাব করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশ প্রধান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

রোববার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব দেন তিনি। তবে তার ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

বি. চৌধুরী বলেন, আমার একটা বিশেষ প্রস্তাব আছে। প্রতিবেশী অনেক দেশে যান, চার বছর পর পর নির্বাচন হয়। আমেরিকায় যান, চার বছর পর পর নির্বাচন, ইংল্যান্ডে যান, চার বছর পর নির্বাচন।

তিনি বলেন, আমাদের কেন পাঁচ বছরে থাকতে হবে? এটা বদলানো যায় না? সরকারকে বলব, সময়টা চার বছরে আনুন।

সেইসঙ্গে নির্দলীয় সরকারের দাবিও তুলে ধরেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি বি চৌধুরী।

তিনি বলেন, শেষের তিন মাস সত্যিকার অর্থে যারা নির্বাচিত তাদের নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করুন। তাহলেই তাদের অধীনে একটা ফার্স্ট ক্লাস নির্বাচন হবে। এখনকার

মতো নির্বাচন তো জিরো।

বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার সংবিধানে পুনর্স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে। একই দাবি করছেন বি. চৌধুরীরও।

বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থার হাল তুলে ধরতে গিয়ে চলমান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টানেন বিকল্প ধারা সভাপতি বি. চৌধুরী।

তিনি বলেন, সরকারের লজ্জা লাগে না, আমাদের লজ্জা লাগে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা লজ্জিত, আমাদের মায়েরা লজ্জিত, সন্তানরা লজ্জিত, দেশের মানুষ লজ্জিত।

এ ধরনের ভোটের জন্য সরকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) দায়ী করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।

এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কোনো মেরুদণ্ড নেই। খবরের কাগজে দেখেছি, উনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আমার ট্যাংক লাগবে।

তিনি বলেন, ট্যাংক নিয়ে যুদ্ধ করে নির্বাচন হবে- লজ্জা লাগে না। আপনার মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কথায় লজ্জায় মরে যাই। এরপরও দাঁড়িয়ে আছেন, পদত্যাগ করেন না। আপনি লজ্জায় মরে যান, শরমে মরে যান।

বি. চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র মানে কী, এটা সরকারের বোঝা উচিত। সরকার বোঝে না, তা বলছি না। কিন্তু সাধারণ মানুষ মনে করে, যতদিন জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায়।

মুসলিম লীগের অষ্টম জাতীয় কাউন্সিলে বক্তব্য রাখেন বিকল্প ধারা সভাপতি। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার।

বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এম এ রকিব, মুসলিম লীগের একাংশের সভানেত্রী জোবেয়দা কাদের চৌধুরী, একাংশের মহাসচিব আতিকুল ইসলাম খোকন, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব এ টি এম হেমায়েতউদ্দিন, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় নেতা বদরুদ্দোজা সূজা, এস আই ইসলাম মিলন, আনোয়ার হোসেন, আবু তাহের বাচ্চু মিয়া, ওসমান গনি, হাজেরা বেগম প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর