ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে ৮ হাজার মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৯৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পূর্ণিমার জোয়ারে বাগেরহাটে অন্তত ৮ হাজার মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চাষিদের প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ। এছাড়া ঘেরের পাড়ে ও ক্ষেতে থাকা সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। গত রোববার সকাল থেকে টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে এই ক্ষতি হয়েছে। তবে মৎস্য বিভাগ ও চাষিরা বলছেন, বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘের ও ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত চার দিনে সমুদ্রে নিম্নচাপ, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট সদর, রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ উপজেলার কয়েক হাজার চিংড়ির ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সদর উপজেলার মাঝিডাঙ্গা এলাকার জহির শেখ নামে এক চাষি বলেন, জোয়ারের পানিতে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ভেঙে আমাদের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে আমার দেড় বিঘা বাগদা-গলদা চিংড়ির ঘের ভেসে গেছে।

 

মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের রাকিব খান বলেন, যেকোনো দুর্যোগেই আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। চাষাবাদের ওপর নির্ভর করে আমাদের এলাকার বেশির ভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। টানা বৃষ্টিতে এলাকার বেশির ভাগ পুকুর-ঘের ভেসে গেছে।

মোংলা উপজেলার চিংড়ি চাষি মিলন কাজি বলেন, রাতের বৃষ্টিতে ঘেরের পাড় দুর্বল হয়ে যায়। সকালের জোয়ার এবং বৃষ্টির পানিতে আমার ঘেরের পাড়ের কয়েক জায়গা ভেঙে পানি প্রবেশ করে। এতে আমার কয়েক লাখ টাকার বাগদা চিংড়ি বের হয়ে গেছে।

বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, বছরের প্রথমে মৌসুমের শুরুতে ভাইরাসে জেলার অনেক ঘেরে মড়ক লেগেছিল। এই কয়েক দিনের বৃষ্টির পানি ও জোয়ারের প্রভাবেও অনেক ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিংড়ি চাষিদের টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের নীতিমালা বাস্তবায়ন ও সার্বিক সহযোগিতার বিকল্প নেই।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী বুধবার দুপুর পর্যন্ত বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় ৮ হাজার মৎস্য ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে, তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে ৮ হাজার মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত

আপডেট টাইম : ১০:২৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পূর্ণিমার জোয়ারে বাগেরহাটে অন্তত ৮ হাজার মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চাষিদের প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ। এছাড়া ঘেরের পাড়ে ও ক্ষেতে থাকা সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। গত রোববার সকাল থেকে টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে এই ক্ষতি হয়েছে। তবে মৎস্য বিভাগ ও চাষিরা বলছেন, বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘের ও ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত চার দিনে সমুদ্রে নিম্নচাপ, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট সদর, রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ উপজেলার কয়েক হাজার চিংড়ির ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সদর উপজেলার মাঝিডাঙ্গা এলাকার জহির শেখ নামে এক চাষি বলেন, জোয়ারের পানিতে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ভেঙে আমাদের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে আমার দেড় বিঘা বাগদা-গলদা চিংড়ির ঘের ভেসে গেছে।

 

মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের রাকিব খান বলেন, যেকোনো দুর্যোগেই আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। চাষাবাদের ওপর নির্ভর করে আমাদের এলাকার বেশির ভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। টানা বৃষ্টিতে এলাকার বেশির ভাগ পুকুর-ঘের ভেসে গেছে।

মোংলা উপজেলার চিংড়ি চাষি মিলন কাজি বলেন, রাতের বৃষ্টিতে ঘেরের পাড় দুর্বল হয়ে যায়। সকালের জোয়ার এবং বৃষ্টির পানিতে আমার ঘেরের পাড়ের কয়েক জায়গা ভেঙে পানি প্রবেশ করে। এতে আমার কয়েক লাখ টাকার বাগদা চিংড়ি বের হয়ে গেছে।

বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, বছরের প্রথমে মৌসুমের শুরুতে ভাইরাসে জেলার অনেক ঘেরে মড়ক লেগেছিল। এই কয়েক দিনের বৃষ্টির পানি ও জোয়ারের প্রভাবেও অনেক ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিংড়ি চাষিদের টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের নীতিমালা বাস্তবায়ন ও সার্বিক সহযোগিতার বিকল্প নেই।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী বুধবার দুপুর পর্যন্ত বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় ৮ হাজার মৎস্য ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে, তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।