হাওর বার্তা ডেস্কঃ ওপার বাংলার চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ রূপাঞ্জনা মিত্র৷ বিশেষ করে টিভির পর্দার নাটকে নিয়মিত দেখা মেলে যার। সম্প্রতি নিজেদের ইন্ডাস্ট্রিতে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজের কষ্ট ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী। একের পর এক উঠতি মডেল বা অভিনেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তিত তিনি। তবে এই জন্য তিনি দায়ী করছেন উঠতি অভিনেত্রীদের লাইফস্টাইলকেই ৷ টাকার লোভে এমন কোনও কাজ নেই যে তাঁরা করছেন না, এমনটাই অভিযোগ করেছেন রূপাঞ্জনা।
গতকাল (৫ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে অর্পিতার প্রসঙ্গ টেনে বিস্ফোরক একটি পোস্ট লিখেছেন রূপাঞ্জনা। অভিযোগ করেছেন, গ্ল্যামার দুনিয়ায় এসে মাথা ঠিক রাখতে না পেরেই সুগার ড্যাডি ধরছে উঠতি অভিনেত্রীরা৷ আরামে জীবন কাটাতে মাত্র ১৬ থেকে ২০ বছরের মেয়েরাই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে৷
টলিউডে এখন ‘সুগার ড্যাডি কালচার’ তৈরি হয়েছে, এমনটাই দাবি করেন এই অভিনেত্রী। টাকার লোভে বাবার বয়সী পুরুষদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ছে উঠতি অভিনেত্রীরা। ল্যাভিশ লাইফস্টাইল মেনটেন করতেই ‘সুগার বেবি’ হচ্ছে তাঁরা।
টলিপাড়ার ভেতরের অন্ধকারময় জগতের কথা উল্লেখ করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি লেখেন, ‘এই ‘‘ফুড চেইন’’-এ যারা পড়তে চায়না তারা কি করবে? সেই মেয়েগুলো যারা মাথা তুলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চায়, তাদের পাশে থাকবেন তো আপনারা?’
রূপাঞ্জনার সহকর্মী অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য এই পোস্টের মন্তব্যে লেখেন, এইসব মেয়েদের মায়েরাও এই ধরণের কাজে উৎসাহ দেয়। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি এর দ্বিতীয় ধরণও কম দেখি না। লোভ আর লাক্সারি এই বিষচক্র নাগপাশের মতো কখনো কখনো বেঁধে ফেলছে মেয়েটির সঙ্গে তাঁর পরিবারকেও। ’
এই প্রজন্মের অন্যতম অভিনেত্রী শ্রুতি দাস নিজের মত প্রকাশ করে লেখেন, ‘আমি শেষ দুটো লাইনের ভুক্তভোগী এবং আমি পাশে কাকে পাবে, কিভাবে পাবো জানতে চাই। নিরুপায় এই প্রশ্নের উত্তর পাব কিনা জানি না। তবে ধন্যবাদ আমার সত্যিটা স্বীকার করবার একটা পরোক্ষ সুযোগ দেওয়ার জন্য’। সূত্র : নিউজ ১৮