জামাল ভূঁইয়ার যোগ দেয়ার মধ্যদিয়ে পূর্ণতা পেল জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন ক্যাম্প। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ ম্যাচকে সামনে রেখে গত ১২ মে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হলেও ডাক পাওয়া সব ফুটবলারকে এতদিন একসঙ্গে পাননি সহকারী কোচ সাইফুল বারী টিটু। প্রথমদিন অনুশীলন করেছিলেন ২১ জন। বৃহস্পতিবার ডাচ কোচ ডি ক্রুইফ পেয়েছেন ৩৫ জনকে। ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু ইনজুরিতে থাকায় তাকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।
জামাল ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার সকালে ডেনমার্ক থেকে ঢাকায় ফিরেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। বিকেলে অনুশীলনেও অংশ নেন তিনি। এদিকে পুরনো ডাচ কোচ ক্রুইফকে পেয়ে উজ্জীবিত জাতীয় দলের ফুটবলাররা। দীর্ঘ ভ্রমণ করে দেশে ফেরা জামালের চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ ছিল না। অনুভূতি জানতে চাইলে জামাল বলেন, ‘কোনো সমস্যা নেই। সব ঠিক আছে।’ শুধু জামালই নন, ক্রুইফকে পেয়ে দারুণ খুশি ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল, রায়হান হাসান, রেজাউল করিম, মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া, গোলকিপার মাজহারুল ইসলাম হিমেল, রাসেল মাহমুদ লিটনরা। হিমেলের কথা, ‘অনুশীলন খুব ভালো হচ্ছে। তাজিকিস্তান ভালো দল। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আমরা ওদের বিপক্ষে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ ড্র করেছি। ওদের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে আমরা জানি।’
ক্রুইফ ক্যাম্পে যোগ দিয়েই বলেছেন, পুরনো ফুটবলারদের ওপর আস্থা রাখবেন। যেহেতু পুরনোদের নিয়েই ভাবছেন কোচ, তাই নতুন ফুটবলারদের ভাবনা চূড়ান্ত দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে। জুনিয়র ফুটবলাররা সতর্ক। টিম ম্যানেজমেন্টের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের মুখে কুলুপ আঁটা। কৌশিক বড়ুয়া, মান্নাফ রাব্বি, নুরুল আবসার, মো. সবুজ, সৈয়দ রাশেদ তূর্যরা মুখ ফুটে কিছু বলতে চান না। অন্যদিকে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়া মিশু বলেন, ‘ইনজুরি লুকিয়ে খেলতে চাই না আমি। তাজিকিস্তানের ম্যাচ দুটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই, যারা ম্যাচে শতভাগ দিতে পারবে, তারাই যেন চূড়ান্ত দলে থাকে। শুধু শুধু
ইনজুরি নিয়ে দলের বোঝা হয়ে পড়ে থেকে লাভ কি?’