হাওর বার্তা ডেস্কঃ গ্রিসে অনিয়মিতভাবে বসবাসরত ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি তাৎক্ষণিক বৈধ বা নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন এথেন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ। আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে বৈধকরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানান।
রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসেবে গ্রিসে বসবাসরত অনিয়মিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হয়।
এ লক্ষ্যে গ্রিস সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশিদের বৈধকরণ কার্যক্রম শুরুর জন্য গ্রিস সরকার একটি অনলাইন প্ল্যাটফরম চালু করবে, যেখানে শুধু অনিয়মিত বসবাসরত বাংলাদেশিরা আবেদন করবেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে তাৎক্ষণিক বৈধ হতে পারবেন এবং বৈধভাবে চাকরির সুযোগ পাবেন। অনলাইনে আবেদন সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার পরপরই আবেদনকারীর ই-মেইলে তাঁর অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট পাঠানো হবে। বৈধ বা নিয়মিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজ ও সংক্ষিপ্ত। এতে জটিলতা না থাকায় কোনো এজেন্ট বা আইনজীবীর শরণাপন্ন হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। প্রয়োজনে দূতাবাসের সহায়তা নেওয়া যাবে কিংবা বিশ্বস্ত আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে আবেদন করা যাবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আবেদনপ্রক্রিয়া তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। নিয়মিত হতে আগ্রহী বা ইচ্ছুক প্রবাসী বাংলাদেশিরা দূতাবাসে তাঁদের নাম নিবন্ধন করবেন এবং তাঁদের পাসপোর্টের একটি অনুলিপি সত্যায়িত করে নিয়ে যাবেন। দূতাবাসে নাম নিবন্ধনের সময় যেসব বিষয় থাকতে হবে সেগুলো হলো দুই বছরের বেশি মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট, এ বছরের ৯ ফেব্রুয়ারির আগে গ্রিসে যাওয়া বা বসবাসের প্রমাণপত্র, একটি ই-মেইল ঠিকানা এবং আবেদনকারীর নামে নিবন্ধিত একটি মোবাইল ফোন নম্বর। যাঁরা এরই মধ্যে তাঁদের সম্ভাব্য চাকরিদাতা নিশ্চিত করতে পেরেছেন তাঁরা শিগগিরই দূতাবাসে এসে নাম নিবন্ধন করে এবং তাঁদের পাসপোর্টটি সত্যায়িত করে নিয়ে যেতে পারেন।
দূতাবাসে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, শতাধিক আবেদনকারীর নাম নিবন্ধন করা হয়েছে। দূতাবাসে নাম নিবন্ধন হলেই শুধু গ্রিস সরকারের ঘোষিত অনলাইন প্ল্যাটফরমে নিয়মিত হওয়ার জন্য মূল আবেদন করা যাবে। নিবন্ধনকারীদের নাম দূতাবাস অনলাইনে যুক্ত করার মাধ্যমে তাঁদের আবেদনের প্রাথমিক ধাপটি সম্পন্ন করবে।