হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেহে পানিশূন্যতার সমস্যা কমাতে ডাবের পানির জুড়ি মেলা ভার। বাজারজাত নরম পানীয়ের তুলনায় স্বাস্থ্যগুণও অনেক বেশি। বিশেষ করে ভ্যাপসা গরমে গলা ভেজাতে ডাবের পানি দিতে পারে আরাম। পানির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি দেহে খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে ডাবের পানি। কিন্তু এত রকমের স্বাস্থ্যগুণ থাকলেও, অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কিডনির অসুখ থাকলে
ডাবের পানিতে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়ামের বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ থাকে। যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে তাই খনিজ লবণের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে অতিরিক্ত ডাবের পানি খেলে। অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করলে হতে পারে ‘হাইপারক্যালিমিয়া’। পটাশিয়াম পরিশোধণেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। তাই কিডনির রোগীদের ডাবের পানি পান করার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নেয়াই বাঞ্ছনীয়।
রক্তচাপের সমস্যা থাকলে
ডাবের পানিত থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম। আর অতিরিক্ত সোডিয়াম বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ। সোডিয়ামের পাশাপাশি ডাবের পানিতে থাকে পটাশিয়ামও। যা কমিয়ে দিতে পারে রক্তচাপ। ফলে যারা রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডাবের পানি সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ডায়াবেটিসে
যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের ডাবের পানি পান করা উচিত কিনা, তা নিয়ে মতান্তর রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যেই। কেউ কেউ বলছেন, দেহে পানিশূন্যতা তৈরি হলে ডাবের পানি শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে। কেউ কেউ আবার বলছেন, এক কাপ ডাবের পানিতে প্রায় ৬.২৬ গ্রাম শর্করা থাকতে পারে। যা বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তের শর্করার পরিমাণ। তবে সাধারণ বাজার চলতি পানীয়গুলোর তুলনায় ডাবের পানিতে থাকা শর্করার পরিমাণ অনেকটাই কম বলে মত বিশেষজ্ঞদের।