ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস ৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার হবে, জানালেন নতুন আইজিপি আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির জুয়ার অ্যাপের প্রচারে নাম লেখালেন বুবলীও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’- তোফায়েল আহমেদ আমরা যা করতে চাই, জনগণকে সাথে নিয়ে করতে চাই : তারেক রহমান বহু নেতার শাসন আমরা দেখেছি, পরিবর্তন দেখিনি : ফয়জুল করীম গ্যাসের জন্য আ.লীগ আমলে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড পাওয়ার আগেই মারা যাবে ১৬ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
  • ১২২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড পাওয়ার আগেই মারা যাবে ১৬ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী
(আবেদনকারী)। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগে নতুন গ্রিনকার্ডের জন্য পাহাড়
সমান আবেদনপত্র জমা পড়ে আছে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত গ্রিনকার্ডের জন্য
৮৬ লাখ বা ৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। এসব আবেদনপত্রের
এমন স্থির প্রক্রিয়া চলতে থাকলে গ্রিনকার্ড হাতে পাওয়ার আগেই ১.৬ মিলিয়ন
অর্থাৎ ১৬ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী (আবেদনকারী) মারা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি এর আগে কখনো দেখা যায়নি। সম্প্রতি
লসএঞ্জেলেস টাইমসে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৩০ বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা, গ্রিনকার্ড ও নাগরিকত্বের আবেদন বেড়ে
চলেছে। কিন্তু সে তুলনায় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের কাজের গতি ও জনবল বাড়েনি।
এছাড়া ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক্যানদের ক্ষমতার মহড়ায় এ বিভাগের কাজকর্ম
কয়েক বছর পরপরই ঝুলে পড়ে। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ইমিগ্রেশন বিরোধী
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আমলে। কোভিড-১৯ ইমিগ্রেশনে জ্যাম আরও বাড়িয়ে
দিয়েছে। বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর আশার বাণী শোনালেও কাজের গতি বাড়েনি।
আত্মীয়স্বজনের জন্য কেউ ইমিগ্রেশন বা গ্রিনকার্ডের আবেদন করলে তা হাতে
আসতে ২০ বছরও লেগে যায়। অপেক্ষায় থাকাবস্থায় অনেকেই মারা যান। স্বপ্নের
আমেরিকা দেখার সুযোগ তাদেও আর হয় না। লসএঞ্জেলস টাইমসের জরিপে উঠে
এসেছে ১৬ লাখ আবেদনকারী আগামী কয়েক বছরে মারা যাবে গ্রিনকার্ড হাতে পাবার
আগেই।
ইমিগ্রেশনে আগ্রহী বাংলাদেশিদের দুরবস্থা ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি
হতাশাজনক। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইটে ভাইবোনদের জন্য
আবেদনের অপেক্ষাকাল ১২-১৩ বছর দেখালেও লেগে যাচ্ছে ১৫-১৬ বছর। বিবাহিত
সন্তানের জন্য আবেদন করে ১৫ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে যাবার দৃষ্টান্তও তৈরি
হয়েছে। অনেকের সবকিছু রেডি থাকলেও ভিসার জন্য ইন্টারভিউ নিতে অনেক সময়
নেওয়া হচ্ছে। ইন্টারভিউয়ের তারিখ বারবার পরিবর্তন করে বছরেরও বেশি সময় পার
করে দিচ্ছে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড পাওয়ার আগেই মারা যাবে ১৬ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী

আপডেট টাইম : ১১:২৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড পাওয়ার আগেই মারা যাবে ১৬ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী
(আবেদনকারী)। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগে নতুন গ্রিনকার্ডের জন্য পাহাড়
সমান আবেদনপত্র জমা পড়ে আছে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত গ্রিনকার্ডের জন্য
৮৬ লাখ বা ৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। এসব আবেদনপত্রের
এমন স্থির প্রক্রিয়া চলতে থাকলে গ্রিনকার্ড হাতে পাওয়ার আগেই ১.৬ মিলিয়ন
অর্থাৎ ১৬ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী (আবেদনকারী) মারা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি এর আগে কখনো দেখা যায়নি। সম্প্রতি
লসএঞ্জেলেস টাইমসে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৩০ বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা, গ্রিনকার্ড ও নাগরিকত্বের আবেদন বেড়ে
চলেছে। কিন্তু সে তুলনায় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের কাজের গতি ও জনবল বাড়েনি।
এছাড়া ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক্যানদের ক্ষমতার মহড়ায় এ বিভাগের কাজকর্ম
কয়েক বছর পরপরই ঝুলে পড়ে। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ইমিগ্রেশন বিরোধী
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আমলে। কোভিড-১৯ ইমিগ্রেশনে জ্যাম আরও বাড়িয়ে
দিয়েছে। বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর আশার বাণী শোনালেও কাজের গতি বাড়েনি।
আত্মীয়স্বজনের জন্য কেউ ইমিগ্রেশন বা গ্রিনকার্ডের আবেদন করলে তা হাতে
আসতে ২০ বছরও লেগে যায়। অপেক্ষায় থাকাবস্থায় অনেকেই মারা যান। স্বপ্নের
আমেরিকা দেখার সুযোগ তাদেও আর হয় না। লসএঞ্জেলস টাইমসের জরিপে উঠে
এসেছে ১৬ লাখ আবেদনকারী আগামী কয়েক বছরে মারা যাবে গ্রিনকার্ড হাতে পাবার
আগেই।
ইমিগ্রেশনে আগ্রহী বাংলাদেশিদের দুরবস্থা ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি
হতাশাজনক। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইটে ভাইবোনদের জন্য
আবেদনের অপেক্ষাকাল ১২-১৩ বছর দেখালেও লেগে যাচ্ছে ১৫-১৬ বছর। বিবাহিত
সন্তানের জন্য আবেদন করে ১৫ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে যাবার দৃষ্টান্তও তৈরি
হয়েছে। অনেকের সবকিছু রেডি থাকলেও ভিসার জন্য ইন্টারভিউ নিতে অনেক সময়
নেওয়া হচ্ছে। ইন্টারভিউয়ের তারিখ বারবার পরিবর্তন করে বছরেরও বেশি সময় পার
করে দিচ্ছে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।