ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সাফল্যের দেড় দশকে মিম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
  • ১২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদ্যা সিনহা মিম, এক দৃঢ়প্রত্যয়ী নায়িকার নাম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী তিনি। দেড় দশক আগে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় নিয়ে মিডিয়াতে তার যাত্রা শুরু হয়।

তার অভিষেক হয় কথাসাহিত্যিক, চলচ্চিত্র ও নাট্যপরিচালক হুমায়ূন আহমেদের সিনেমায়। ‘আমার আছে জল’ সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার মিমের অভিষেক হয়।

নাটকে তাকে প্রথম দেখা যায় মাহফুজ আহমেদ পরিচালিত ‘শেষের কবিতার পরের কবিতা’ নাটকে। এতে মিমের বিপরীতে ছিলেন আদিল হোসেন নোবেল। আরও ছিলেন আরিফিন শুভ। প্রয়াত পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘জোনাকীর আলো’ সিনেমাতে অভিনয় করে মিমি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। দীর্ঘ দেড় দশকে তিনি ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’, ‘ তারকাঁটা’,‘ পদ্মপাতার জল’, ‘সুইটহার্ট’, ‘ভালোবাসা এমনই হয়’, ‘পাষাণ’, ‘সুলতান’, ‘ইয়েতি অভিযান’,‘ব্যাক’সহ বেশ কিছু সিনেমাতে অভিনয় করেন।

বহু বিজ্ঞাপনে এবং নাটকে-টেলিফিল্মে অভিনয় করেও বিদ্যা সিনহা মিম এ দেশের দর্শকের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করেছেন।

সর্বশেষ তার অভিনীত রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ সিনেমায় অনন্যা চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ‘পরাণ’র জয়জয়কারের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে মিম বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। সম্প্রতি সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনির হাত থেকে তিনি সনদ গ্রহণ করেছেন।

একদিকে ‘পরাণ’র জয়জয়কার, অন্যদিকে শিক্ষা জীবনের সাফল্যের সনদ গ্রহণ, ক্যারিয়ারের দেড় দশক পার করা- সব মিলিয়ে মিম তার জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়টা পার করছেন এখন। সাফল্যের দীর্ঘ দেড় দশকের পথচলা প্রসঙ্গে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন,‘ সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা তিনি আমাকে সুন্দর একটা জীবন দিয়েছেন, সুস্থ রেখেছেন, ভালো রেখেছেন। এর পর আমি আমার মা এবং তার পর বাবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমাকে সুন্দর এক জীবন গড়ার দিকে ধাবিত করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন। কৃতজ্ঞতা জানানই লাক্স-চ্যানেল আই প্লাটফরমকে। কারণ এই প্লাটফরমের কারণেই আমি আজকের বিদ্যা সিনহা মিম। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রয়াত খালিদ মাহমুদ মিঠু স্যারের প্রতি, তার সিনেমাতে অভিনয় করে আমি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানাই, আমার প্রাণের প্রিয়া সিনেমার প্রযোজক শ্রদ্ধেয় তাপসী ঠাকুরকে-তার কারণেই বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমায় আমার অভিষেক এবং সব শ্রেণির দর্শকের কাছে আমি সমাদৃত হতে পেরেছি। সাংবাদিকদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আজকের আমি হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে যাদেরই অবদান রয়েছে তাদেরকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ বিদ্যা সিনহা মিম ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

সাফল্যের দেড় দশকে মিম

আপডেট টাইম : ০৯:৪৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদ্যা সিনহা মিম, এক দৃঢ়প্রত্যয়ী নায়িকার নাম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী তিনি। দেড় দশক আগে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় নিয়ে মিডিয়াতে তার যাত্রা শুরু হয়।

তার অভিষেক হয় কথাসাহিত্যিক, চলচ্চিত্র ও নাট্যপরিচালক হুমায়ূন আহমেদের সিনেমায়। ‘আমার আছে জল’ সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার মিমের অভিষেক হয়।

নাটকে তাকে প্রথম দেখা যায় মাহফুজ আহমেদ পরিচালিত ‘শেষের কবিতার পরের কবিতা’ নাটকে। এতে মিমের বিপরীতে ছিলেন আদিল হোসেন নোবেল। আরও ছিলেন আরিফিন শুভ। প্রয়াত পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘জোনাকীর আলো’ সিনেমাতে অভিনয় করে মিমি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। দীর্ঘ দেড় দশকে তিনি ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’, ‘ তারকাঁটা’,‘ পদ্মপাতার জল’, ‘সুইটহার্ট’, ‘ভালোবাসা এমনই হয়’, ‘পাষাণ’, ‘সুলতান’, ‘ইয়েতি অভিযান’,‘ব্যাক’সহ বেশ কিছু সিনেমাতে অভিনয় করেন।

বহু বিজ্ঞাপনে এবং নাটকে-টেলিফিল্মে অভিনয় করেও বিদ্যা সিনহা মিম এ দেশের দর্শকের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করেছেন।

সর্বশেষ তার অভিনীত রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ সিনেমায় অনন্যা চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ‘পরাণ’র জয়জয়কারের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে মিম বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। সম্প্রতি সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনির হাত থেকে তিনি সনদ গ্রহণ করেছেন।

একদিকে ‘পরাণ’র জয়জয়কার, অন্যদিকে শিক্ষা জীবনের সাফল্যের সনদ গ্রহণ, ক্যারিয়ারের দেড় দশক পার করা- সব মিলিয়ে মিম তার জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়টা পার করছেন এখন। সাফল্যের দীর্ঘ দেড় দশকের পথচলা প্রসঙ্গে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন,‘ সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা তিনি আমাকে সুন্দর একটা জীবন দিয়েছেন, সুস্থ রেখেছেন, ভালো রেখেছেন। এর পর আমি আমার মা এবং তার পর বাবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমাকে সুন্দর এক জীবন গড়ার দিকে ধাবিত করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন। কৃতজ্ঞতা জানানই লাক্স-চ্যানেল আই প্লাটফরমকে। কারণ এই প্লাটফরমের কারণেই আমি আজকের বিদ্যা সিনহা মিম। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রয়াত খালিদ মাহমুদ মিঠু স্যারের প্রতি, তার সিনেমাতে অভিনয় করে আমি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানাই, আমার প্রাণের প্রিয়া সিনেমার প্রযোজক শ্রদ্ধেয় তাপসী ঠাকুরকে-তার কারণেই বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমায় আমার অভিষেক এবং সব শ্রেণির দর্শকের কাছে আমি সমাদৃত হতে পেরেছি। সাংবাদিকদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আজকের আমি হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে যাদেরই অবদান রয়েছে তাদেরকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ বিদ্যা সিনহা মিম ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন।