ঢাকা ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস ৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার হবে, জানালেন নতুন আইজিপি আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির জুয়ার অ্যাপের প্রচারে নাম লেখালেন বুবলীও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’- তোফায়েল আহমেদ আমরা যা করতে চাই, জনগণকে সাথে নিয়ে করতে চাই : তারেক রহমান বহু নেতার শাসন আমরা দেখেছি, পরিবর্তন দেখিনি : ফয়জুল করীম গ্যাসের জন্য আ.লীগ আমলে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রে কুরবানির মাংস মেলে ঈদের ২-৩ দিন পর!

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জুলাই ২০২২
  • ১৭১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে কসাই সঙ্কটের কারণে ঈদের দিনে অধিকাংশ প্রবাসীদের ভাগ্যে জোটে না ‘কোরবানির মাংস’। ঈদের ২-৩ দিন পর মেলে খামারে দেওয়া কোরবানির অর্ডারের মাংস। যুগ যুগ ধরেই এ অবস্থা চলে আসছে।

প্রায় প্রতিটি খামারেই ঈদের দিন থেকে হাজার হাজার গরু-ছাগল জবাই করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ক্রমিক নম্বর অনুসারে কারও ভাগ্যে ঈদের দিন, আবার কারও ভাগ্যে ঈদের ২-৩ দিন পর জোটে কোরবানির মাংস। ঈদের দিনে কোরবানির মাংস হাতে পাওয়া প্রবাসীর সংখ্যা খুবই কম।
শুধু বাংলাদেশিরাই নয় যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমান ধর্মাবলম্বী সব দেশের মানুষরা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রায় এক মাস আগেই বিভিন্ন খামারে গিয়ে গরু-ছাগল ওজন দিয়ে কুরবানির জন্য অর্ডার দিয়ে আসেন। ঈদের দিনে নামাজ শেষেই বেশিরভাগ প্রবাসীই ছুটে যান খামারের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে অপেক্ষার পর অপেক্ষা। সারাদিন অপেক্ষার পর কোরবানির গরু-ছাগল জবাইয়ের ক্রমিক নম্বর না মেলায় দিনান্তে ঘরে ফিরে আসেন। পরদিন আবার ছুটে যান একই খামারে। এভাবেই কুরবানির মাংসের জন্য চলে দৌঁড়ঝাপ।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস, নিউজার্সি, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, কানেকটিকাট, নর্থ ক্যারোলিনা, ওহাইও, মিনেসোটা, টেনেসি, নিউহ্যাম্পশয়ার, মেইন, রোড আইল্যান্ড, ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি ঈদুল আজহার একমাস আগে থেকেই ছুটে যান বিভিন্ন গরুর খামারে। সেখানে জীবন্ত গরু যৌথভাবে এবং ছাগল এককভাবে ওজন দিয়ে কোরবানির অর্ডার বুকিং দিয়ে আসেন।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় খামারে ১৫ হাজার, মাঝারি ও ছোট খামারে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার গরু পালন করা হয়। এসব খামার থেকে প্রতি বছর ৩৯ মিলিয়ন গরু জবাই করা হয়।যুক্তরাষ্ট্রে কোরবানির গরুতে একটি ভাগের মূল্য পড়ে প্রায় ২৫০ ডলার।

নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি আব্দুল গফুর জানান, তিনি পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত কুরবানি দিতেন। মাঝে কিছুদিন আর দেননি। গত বছর আবার তার বন্ধুদের সঙ্গে কুরবানির গরুতে একটি ভাগ দিয়েছিলেন। ১৫ দিন আগে একটি খামারে গিয়ে গরু ওজন দিয়েছিলেন ১৫৬০ পাউন্ড। ঈদের দিনে বর্জ্য বাদ দিয়ে প্রকৃত মাংস পেয়েছেন মাত্র ৫৬০ পাউন্ড। একটি গরুতে ১ হাজার পাউন্ড বর্জ্য ফেলে দিতে হয় এটা অবিশ্বাস্য, যা তিনি কখনই দেখেননি বা শোনেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন

যুক্তরাষ্ট্রে কুরবানির মাংস মেলে ঈদের ২-৩ দিন পর!

আপডেট টাইম : ০২:২১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জুলাই ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে কসাই সঙ্কটের কারণে ঈদের দিনে অধিকাংশ প্রবাসীদের ভাগ্যে জোটে না ‘কোরবানির মাংস’। ঈদের ২-৩ দিন পর মেলে খামারে দেওয়া কোরবানির অর্ডারের মাংস। যুগ যুগ ধরেই এ অবস্থা চলে আসছে।

প্রায় প্রতিটি খামারেই ঈদের দিন থেকে হাজার হাজার গরু-ছাগল জবাই করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ক্রমিক নম্বর অনুসারে কারও ভাগ্যে ঈদের দিন, আবার কারও ভাগ্যে ঈদের ২-৩ দিন পর জোটে কোরবানির মাংস। ঈদের দিনে কোরবানির মাংস হাতে পাওয়া প্রবাসীর সংখ্যা খুবই কম।
শুধু বাংলাদেশিরাই নয় যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমান ধর্মাবলম্বী সব দেশের মানুষরা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রায় এক মাস আগেই বিভিন্ন খামারে গিয়ে গরু-ছাগল ওজন দিয়ে কুরবানির জন্য অর্ডার দিয়ে আসেন। ঈদের দিনে নামাজ শেষেই বেশিরভাগ প্রবাসীই ছুটে যান খামারের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে অপেক্ষার পর অপেক্ষা। সারাদিন অপেক্ষার পর কোরবানির গরু-ছাগল জবাইয়ের ক্রমিক নম্বর না মেলায় দিনান্তে ঘরে ফিরে আসেন। পরদিন আবার ছুটে যান একই খামারে। এভাবেই কুরবানির মাংসের জন্য চলে দৌঁড়ঝাপ।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস, নিউজার্সি, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, কানেকটিকাট, নর্থ ক্যারোলিনা, ওহাইও, মিনেসোটা, টেনেসি, নিউহ্যাম্পশয়ার, মেইন, রোড আইল্যান্ড, ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি ঈদুল আজহার একমাস আগে থেকেই ছুটে যান বিভিন্ন গরুর খামারে। সেখানে জীবন্ত গরু যৌথভাবে এবং ছাগল এককভাবে ওজন দিয়ে কোরবানির অর্ডার বুকিং দিয়ে আসেন।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় খামারে ১৫ হাজার, মাঝারি ও ছোট খামারে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার গরু পালন করা হয়। এসব খামার থেকে প্রতি বছর ৩৯ মিলিয়ন গরু জবাই করা হয়।যুক্তরাষ্ট্রে কোরবানির গরুতে একটি ভাগের মূল্য পড়ে প্রায় ২৫০ ডলার।

নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি আব্দুল গফুর জানান, তিনি পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত কুরবানি দিতেন। মাঝে কিছুদিন আর দেননি। গত বছর আবার তার বন্ধুদের সঙ্গে কুরবানির গরুতে একটি ভাগ দিয়েছিলেন। ১৫ দিন আগে একটি খামারে গিয়ে গরু ওজন দিয়েছিলেন ১৫৬০ পাউন্ড। ঈদের দিনে বর্জ্য বাদ দিয়ে প্রকৃত মাংস পেয়েছেন মাত্র ৫৬০ পাউন্ড। একটি গরুতে ১ হাজার পাউন্ড বর্জ্য ফেলে দিতে হয় এটা অবিশ্বাস্য, যা তিনি কখনই দেখেননি বা শোনেননি।