হাওর বার্তা ডেস্কঃ বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গরিব-দুস্থ ৩৫ জন রোগীর বিনামূল্যে চোখের ছানি, মাংস বৃদ্ধি ও নেত্রনালী অপারেশন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী এ ফ্রি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে ৩১ জনের ছানি, ৩ জনের মাংস বৃদ্ধি এবং ১ জনের নেত্রনালীর অপারেশন
করা হয়।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার (এডমিন, এইচআর) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, গরিব-দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় আগে থেকেই এ ধরনের প্রক্রিয়া চলে আসছে। সারা দেশে বিনামূল্যে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় ১৪০০ রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়েছে।
এ ক্যাম্পটি ৩ জুন শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সেখানকার ৩৫ জন রোগীর এ অপারেশন করা হয় বলেও জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আমেনা বেগম বলেন, বসুন্ধরা আই হসপিটাল আমাদের ভালো সাহায্য করছে। আমার চোখের মাংস বেড়ে গেছে, এটান ব্যয় বহুল চিকিৎসা দেখে করাতে পারছিলাম না। কিন্তু বসুন্ধরা আই হসপিটালে আমাদের বিনামূল্যে অপারেশন করা হচ্ছে, এজন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ।
চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগী দুলি বেগম বলেন, আমি ডান চোখে দেখতে পাই না। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না, আমার এক ভাই এখানে পাঠিয়েছেন। গতকাল আমরা এখানে এসেছি আজ অপারেশন। এখানকার ডাক্তার ও নার্সরা অনেক ভালো সেবা দিচ্ছেন। বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছি। এই জন্য আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন এই হাসপাতালের আরও উন্নতি হয় এবং আমাদের মতো এই রকম অসহায় মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারে।
নিজের বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছি এমনটাই মনে হচ্ছে বলে জানালেন আবজা বানু। এখানকার পরিবেশ এবং খাবার দাবার অনেক ভালো। এতো সুন্দর পরিবেশ বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারবো বলে কখনও ভাবিনি। তিনি বসুন্ধরা আই হসপিটাল ও চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্রের প্রতি কৃতজ্ঞ বলেও জানান।
চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও ক্যাম্প চিফ মো আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনবছর ধরে আমাদের এই ক্যাম্প চলছে। এই পর্যন্ত ২০৩ জন রোগীকে এখান থেকে চিকিৎসা দিয়েছি। করোনা কারণে দুই বছর সেবা বন্ধ ছিল। বসুন্ধরা আই হসপিটাল যে সেবা রোগীদের দিচ্ছে, তাদের আন্তরিকতা এবং চিকিৎসা পেয়ে মুগ্ধ। আমরা ৫ জনের একটি টিম নিয়ে এসেছি আজ ৩৫ জন রোগীর বিনামূল্যে অপারেশন করা হচ্ছে। এই রকম ভালো প্রতিষ্ঠান আরো হওয়া উচিত। তাহলে সমাজে যারা চিকিৎসা করাতে পারে না তারা অন্ধত্ব থেকে বেঁচে যেত। এই জন্য আমি এবং আমার সংগঠনের পক্ষ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান, এমডি ও ভাইস চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞ জানাই।