ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

— ভুল সংশোধন করে বাংলাদেশ ও ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি পুনরায় পাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০১৫
  • ৪৬৫ বার

আগের পাস করা ভুল সংশোধন করে বাংলাদেশ ও ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পুনরায় ভারতের রাজ্যসভায় সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। বিলের পক্ষে ১৮১টি ভোট পড়ে। বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি। এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বিলে সই করবেন। আজ বিলটি পাসের জন্য উঠলেও কোনো বিতর্কের সুযোগ ছিল না। শুধু ভুলগুলো সংশোধন করে ভোটাভুটির মাধ্যমে বিলটি পাস করা হয়। তবে বিল উত্থাপনে ভুলের জন্য সরকারের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী আজাদ। ইতোপূর্বে রাজ্যসভায় পাস হয়ে যাওয়া বিলটিকে ভারতের ১১৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল বলা হলেও আসলে এটি ছিলো ১০০তম সংবিধান সংশোধনী বিল। বিলের ক্রমিক সংখ্যা ১১৯ ছিল। এছাড়া বিলের দিন-তারিখ নিয়ে মোট সাতটি জায়গায় ভুল ছিল। এই ভুলগুলো সংশোধন করে পুনরায় বিল পাস করা হয়। গত বুধবার রাজ্যসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হলে তখনই ভুলগুলো ধরা পড়ে। পরদিন সংশোধনী এনে বিলটি লোকসভায় পাস হলেও রাজ্যসভায় ফের উত্থাপন করতে হয়। ২০১৩ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হয়। তখন বিল উত্থাপনে ২০১৩ সালের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এবার ভুলক্রমে হুবহুভাবে উত্থাপিত বিলে ২০১৫ সাল না লিখে ২০১৩ রয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহল বিনিময় ও অপদখলীয় ভূমির বিরোধ অবসানে বাংলাদেশের দিক থেকে সব প্রক্রিয়া সারা হলেও তা আটকে ছিল ভারতের দিকে। এ চুক্তির আওতায় ভারত ও বাংলাদেশের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় হওয়ার কথা। বাংলাদেশি ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার। আর ভারতীয় ছিটমহলগুলোর জনসংখ্যা ৩৭ হাজারের মতো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

— ভুল সংশোধন করে বাংলাদেশ ও ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি পুনরায় পাস

আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০১৫

আগের পাস করা ভুল সংশোধন করে বাংলাদেশ ও ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পুনরায় ভারতের রাজ্যসভায় সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। বিলের পক্ষে ১৮১টি ভোট পড়ে। বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি। এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বিলে সই করবেন। আজ বিলটি পাসের জন্য উঠলেও কোনো বিতর্কের সুযোগ ছিল না। শুধু ভুলগুলো সংশোধন করে ভোটাভুটির মাধ্যমে বিলটি পাস করা হয়। তবে বিল উত্থাপনে ভুলের জন্য সরকারের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী আজাদ। ইতোপূর্বে রাজ্যসভায় পাস হয়ে যাওয়া বিলটিকে ভারতের ১১৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল বলা হলেও আসলে এটি ছিলো ১০০তম সংবিধান সংশোধনী বিল। বিলের ক্রমিক সংখ্যা ১১৯ ছিল। এছাড়া বিলের দিন-তারিখ নিয়ে মোট সাতটি জায়গায় ভুল ছিল। এই ভুলগুলো সংশোধন করে পুনরায় বিল পাস করা হয়। গত বুধবার রাজ্যসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হলে তখনই ভুলগুলো ধরা পড়ে। পরদিন সংশোধনী এনে বিলটি লোকসভায় পাস হলেও রাজ্যসভায় ফের উত্থাপন করতে হয়। ২০১৩ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হয়। তখন বিল উত্থাপনে ২০১৩ সালের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এবার ভুলক্রমে হুবহুভাবে উত্থাপিত বিলে ২০১৫ সাল না লিখে ২০১৩ রয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহল বিনিময় ও অপদখলীয় ভূমির বিরোধ অবসানে বাংলাদেশের দিক থেকে সব প্রক্রিয়া সারা হলেও তা আটকে ছিল ভারতের দিকে। এ চুক্তির আওতায় ভারত ও বাংলাদেশের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় হওয়ার কথা। বাংলাদেশি ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার। আর ভারতীয় ছিটমহলগুলোর জনসংখ্যা ৩৭ হাজারের মতো।