হাওর বার্তা ডেস্কঃ পদ্মা সেতু নির্মাণের চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এদিন ঠিক করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পদ্মা সেতু নিয়ে জারি করা রুলের বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করার পর তা শুনানির জন্য সোমবার নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। আশা করি নির্ধারিত ও ধার্য দিনে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
একটি জাতীয় পত্রিকায় ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পর দিন (১৫ ফেব্রুয়ারি) ওই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পsত্রিকার সংবাদের কথা উল্লেখ করে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই সময় পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যা গল্প সৃষ্টিকারীকে- তা জানতে চেয়ে এবং প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বঃপ্রণোদিত রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তাদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যোগাযোগ সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে ওই বছরের ২০ মার্চ রুলের জবাব ও প্রতিবেদন দিতে আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেন হাইকোর্ট। পরে কয়েক দফা সময়ের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
এর মধ্যে কমিশন গঠনের জন্য ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর একজন সদস্যের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানায় সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামানের নাম প্রস্তাব করা হয়। এর পর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ায় রুলটি আর শুনানিতে ওঠেনি।