হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হবে এ সংলাপে।
সংলাপে উভয়পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুসহ বৈশ্বিক সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, কানেকটিভিটি, রোহিঙ্গা ইস্যু, নিরাপত্তা, অবৈধ অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো আলোচনার টেবিলে থাকবে।
আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সংলাপে ঢাকা চাইছে, আগামী এক দশক বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি সময়ের ব্যবধানে ইইউর সঙ্গে সমন্বিত অংশীদারিত্বের পর্যায় থেকে সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে কৌশলগত অংশীদারিত্বে নিয়ে যেতে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। ইইউ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিকে মোরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে ২০২৩ সালে। এখন উভয়পক্ষ সম্পকর্কে কীভাবে দেখতে চায় বা সামনের দিনগুলোতে এটি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি মূল উদ্দেশ্য। উভয়পক্ষ আরও কীভাবে কাজ করতে পারে বা কীভাবে আরও সম্পৃক্ততা বাড়ানো যায়, এগুলোর জন্যই রাজনৈতিক সংলাপ। সেজন্য সংলাপে এ বিষয়গুলোই বেশি গুরুত্ব পাবে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সংলাপে অংশ নিতে ইইউ’র ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিকের সঙ্গে ছোট একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসবে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। প্রতিনিধি দলের রাজনৈতিক সংলাপে অংশ নেওয়া ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর দুজন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ চাওয়া হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হচ্ছে না। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সে সময় দেশের বাইরে থাকবেন বলে তার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হচ্ছে না ইইউর প্রতিনিধি দলের।