ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: সিদ্ধান্তের পরও কর্মী যাওয়া শুরু হয়নি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
  • ১৪৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার ঘোষণার পরও কর্মী যাওয়া শুরু হয়নি। সব সিদ্ধান্তের পরও কর্মী যাওয়া নিয়ে চলছে টালবাহানা। অভিযোগ উঠেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিরুদ্ধে। শ্রমবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তাদের অসহযোগিতায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষা করছে তারা।

ঢাকায় গত ২ জুন যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে একমত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলোতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে স্বাক্ষর করেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ ঘোষণা করেন, চলতি জুনেই মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হবে। কিন্তু সেই বৈঠকের পর প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতির এখন পর্যন্ত কোনো উন্নতি হয়নি।

শ্রমবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশ হাইকমিশনে ‘ডিমান্ড লেটার’ (চাহিদাপত্র) জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন শর্ত দিচ্ছে ঢাকায় মেডিক্যাল করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে মেডিক্যাল সেন্টারগুলোর অনুমোদন দেওয়া প্রয়োজন, এ ছাড়া মেডিক্যালের রিপোর্ট হাইকমিশনের অনলাইন মডিউলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

শ্রমবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, এগুলোর কোনোটিই হাইকমিশনের কাজ নয়। শুধু প্রক্রিয়াটিকে দেরি করানো বা অভিবাসন প্রক্রিয়াটি বন্ধ রাখার জন্যই এসব শর্ত আরোপ করা হচ্ছে। কেননা দুই দেশের মধ্যে সব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তাই হাইকমিশনের কাজ হলো মালয়েশিয়ার নিয়োগকারীদের কাছ থেকে ‘ডিমান্ড লেটার’ চুক্তিপত্র জমা নিয়ে তাদের কম্পানি প্রফাইল যাচাই-বাছাই এবং প্রয়োজনে কম্পানি/ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি সাপেক্ষে প্রকৃত চাহিদা নিরূপণ করে ডিমান্ড লেটার ও চুক্তিপত্র সত্যায়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো। মন্ত্রণালয় মেডিক্যাল ও আনুষঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পাদনের জন্য অনুমতি দেবে।

গত ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মেডিক্যাল সেন্টারের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কোনো উদ্যোগ নেয়নি। একদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন বলছে, ডিমান্ড লেটার সত্যায়নের আগে মেডিক্যাল সেন্টার নির্বাচন করতে। অন্যদিকে মন্ত্রণালয় তালিকা চূড়ান্ত করছে না। এই পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকার ঢাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত ও নবায়নকৃত মেডিক্যাল সেন্টারের মনোনয়ন দিয়েছে এবং ‘সিস্টেম ইনস্টল’ ও মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। এখন নতুন করে মেডিক্যাল সেন্টার অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে একদিকে যেমন পুরো প্রক্রিয়াটি অনেক পিছিয়ে যাবে, অন্যদিকে মালয়েশিয়া সরকার তাদের অনুমোদিত মেডিক্যাল সেন্টারের জায়গায় নতুন মেডিক্যাল সেন্টার সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেবে।

সংশ্লিষ্টদের আরো অভিযোগ, মালয়েশিয়া সরকারের নির্ধারিত ‘সিস্টেম প্রভাইডার’ এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ডিমান্ড লেটার ও চুক্তিপত্র সত্যায়নসহ অভিবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব  সফটওয়্যার ও সরঞ্জাম ইনস্টল করেছে। ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও তাদের মডিউলের সংযোগ স্থাপনের ব্যাপারে অনেক আগেই প্রস্তাব দিয়েছে। এর কোনো কিছুর বিষয়েই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়নি।    উল্টো কখনো ডাটা ব্যাংকের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগে বাধ্যবাধকতা, কখনো র‌্যান্ডম স্প্যাম্পলিং আবার কখনো বা মালয়েশিয়ার কাছে মন্ত্রণালয়ের নতুন সিস্টেম সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এভাবে হাইকমিশন ও মন্ত্রণালয় অযৌক্তিক শর্ত আরোপ করে পুরো প্রক্রিয়াটিকে দেরি করাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মন্ত্রণালয়ের এমন কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ কর্মী পাঠাতে প্রস্তুত নয়—মালয়েশিয়া সরকারের কাছে এমন বার্তা যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার অন্য দেশের হাতে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা বলছেন, মালয়েশিয়া মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী গত ১৫ জুন পর্যন্ত দুই লাখ কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে তার মন্ত্রণালয় ডিমান্ড লেটার ইস্যু করেছে। এর একটি বড় অংশ বাংলাদেশের পাওয়ার কথা হলেও আমাদের ঢিলেঢালা কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধান্তহীনতার কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালসহ অন্য ১২টি ‘সোর্স কান্ট্রিতে’ চলে যাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরও নানা জটিলতা, সিদ্ধান্তহীনতা এবং আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতার কারণে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারটি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই দ্রুত দেশের স্বার্থে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ডিমান্ড লেটার ও চুক্তিপত্র সত্যায়ন শুরু করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: সিদ্ধান্তের পরও কর্মী যাওয়া শুরু হয়নি

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার ঘোষণার পরও কর্মী যাওয়া শুরু হয়নি। সব সিদ্ধান্তের পরও কর্মী যাওয়া নিয়ে চলছে টালবাহানা। অভিযোগ উঠেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিরুদ্ধে। শ্রমবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তাদের অসহযোগিতায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষা করছে তারা।

ঢাকায় গত ২ জুন যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে একমত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলোতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে স্বাক্ষর করেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ ঘোষণা করেন, চলতি জুনেই মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হবে। কিন্তু সেই বৈঠকের পর প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতির এখন পর্যন্ত কোনো উন্নতি হয়নি।

শ্রমবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশ হাইকমিশনে ‘ডিমান্ড লেটার’ (চাহিদাপত্র) জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন শর্ত দিচ্ছে ঢাকায় মেডিক্যাল করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে মেডিক্যাল সেন্টারগুলোর অনুমোদন দেওয়া প্রয়োজন, এ ছাড়া মেডিক্যালের রিপোর্ট হাইকমিশনের অনলাইন মডিউলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

শ্রমবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, এগুলোর কোনোটিই হাইকমিশনের কাজ নয়। শুধু প্রক্রিয়াটিকে দেরি করানো বা অভিবাসন প্রক্রিয়াটি বন্ধ রাখার জন্যই এসব শর্ত আরোপ করা হচ্ছে। কেননা দুই দেশের মধ্যে সব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তাই হাইকমিশনের কাজ হলো মালয়েশিয়ার নিয়োগকারীদের কাছ থেকে ‘ডিমান্ড লেটার’ চুক্তিপত্র জমা নিয়ে তাদের কম্পানি প্রফাইল যাচাই-বাছাই এবং প্রয়োজনে কম্পানি/ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি সাপেক্ষে প্রকৃত চাহিদা নিরূপণ করে ডিমান্ড লেটার ও চুক্তিপত্র সত্যায়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো। মন্ত্রণালয় মেডিক্যাল ও আনুষঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পাদনের জন্য অনুমতি দেবে।

গত ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মেডিক্যাল সেন্টারের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কোনো উদ্যোগ নেয়নি। একদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন বলছে, ডিমান্ড লেটার সত্যায়নের আগে মেডিক্যাল সেন্টার নির্বাচন করতে। অন্যদিকে মন্ত্রণালয় তালিকা চূড়ান্ত করছে না। এই পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকার ঢাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত ও নবায়নকৃত মেডিক্যাল সেন্টারের মনোনয়ন দিয়েছে এবং ‘সিস্টেম ইনস্টল’ ও মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। এখন নতুন করে মেডিক্যাল সেন্টার অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে একদিকে যেমন পুরো প্রক্রিয়াটি অনেক পিছিয়ে যাবে, অন্যদিকে মালয়েশিয়া সরকার তাদের অনুমোদিত মেডিক্যাল সেন্টারের জায়গায় নতুন মেডিক্যাল সেন্টার সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেবে।

সংশ্লিষ্টদের আরো অভিযোগ, মালয়েশিয়া সরকারের নির্ধারিত ‘সিস্টেম প্রভাইডার’ এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ডিমান্ড লেটার ও চুক্তিপত্র সত্যায়নসহ অভিবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব  সফটওয়্যার ও সরঞ্জাম ইনস্টল করেছে। ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও তাদের মডিউলের সংযোগ স্থাপনের ব্যাপারে অনেক আগেই প্রস্তাব দিয়েছে। এর কোনো কিছুর বিষয়েই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়নি।    উল্টো কখনো ডাটা ব্যাংকের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগে বাধ্যবাধকতা, কখনো র‌্যান্ডম স্প্যাম্পলিং আবার কখনো বা মালয়েশিয়ার কাছে মন্ত্রণালয়ের নতুন সিস্টেম সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এভাবে হাইকমিশন ও মন্ত্রণালয় অযৌক্তিক শর্ত আরোপ করে পুরো প্রক্রিয়াটিকে দেরি করাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মন্ত্রণালয়ের এমন কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ কর্মী পাঠাতে প্রস্তুত নয়—মালয়েশিয়া সরকারের কাছে এমন বার্তা যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার অন্য দেশের হাতে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা বলছেন, মালয়েশিয়া মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী গত ১৫ জুন পর্যন্ত দুই লাখ কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে তার মন্ত্রণালয় ডিমান্ড লেটার ইস্যু করেছে। এর একটি বড় অংশ বাংলাদেশের পাওয়ার কথা হলেও আমাদের ঢিলেঢালা কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধান্তহীনতার কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালসহ অন্য ১২টি ‘সোর্স কান্ট্রিতে’ চলে যাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরও নানা জটিলতা, সিদ্ধান্তহীনতা এবং আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতার কারণে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারটি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই দ্রুত দেশের স্বার্থে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ডিমান্ড লেটার ও চুক্তিপত্র সত্যায়ন শুরু করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।