হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি মৌসুমের তৃতীয় দফা বন্যা হচ্ছে দেশে। একদিনের পানির ঢলেই ডুবে গেছে সিলেট-সুনামগঞ্জ। একদিনে বন্যার এমন ভয়াবহ রূপ আগে দেখেনি সিলেটবাসী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চল চেরাপুঞ্জিতে ২৭ বছরের রেকর্ড বৃষ্টিই সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যার অন্যতম কারণ।
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নদীর নাব্যতা–সংকট, হাওড়ে অপরিকল্পিত রাস্তা, বাঁধ ও স্লুইচগেট নির্মাণের কারণে বন্যার পানি দ্রুত নামছে না। পানিপ্রবাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এরইমধ্যে প্রশ্ন উঠে কিশোরগঞ্জের হাওড় অঞ্চলে নির্মিত অলওয়েদার সড়কের কারণেই কি পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে?
এ প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য আসেনি যে, এই রাস্তা কেটে না দিলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। কোথাও কোনো রাস্তার কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হলে সেটা কেটে দিয়ে বেইলি ব্রিজ বসাতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে সিলেটের মেয়র আমাকে জানিয়েছেন যে, শহরের ভেতরে কিছু রাস্তা কেটে দেয়া লাগতে পারে। কাটার জন্য আমি অভয় দিয়েছি, পরবর্তী সময়ে মেরামতের জন্য আমরা বরাদ্দ দেব।’
রোববার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক রোববার কয়েকটি রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানালেন মন্ত্রী। এতে করে সুফল পাচ্ছেন বানভাসি মানুষেরা। পানি সরে যেতে শুরু করেছে সেখানে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকায় কিছু রাস্তা কাটার প্রয়োজন পড়েছে। সিলেটের মেয়র সেটা জানিয়েছেন। এতে বন্যার পানি সহজে নেমে যাচ্ছে। কোথাও প্রয়োজন হলে আরও রাস্তা কেটে ফেলা হবে।’