হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের পর সিলেটের সবকটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো সিলেট জেলায়।
কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। ইতোমধ্যেই সড়কপথে ভেঙে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল জেলাটি।
পানি বৃদ্ধি কারণে সিলেটের কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সবশেষে কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে বন্ধ করে দেওয়ায় ন্যাশনাল গ্রিড লাইন থেকে সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
আজ দুপুর সোয়া ১২টা থেকে পুরো সিলেট জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কাদির এই তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, বৃষ্টিপাত কমলে সেচ দিয়ে পানি কমানোর পর আবারও বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর চেষ্টা করা হবে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করতে শুরু হয়। খবর পেয়ে ছুটে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারদিকে বাঁধ দিয়ে সেচে পানি কমানোর উদ্যোগ নেন। এরপর এই কাজে যুক্ত হন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সেনা সদস্যরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে বালু, মাটি ও পাথরের বস্তা ফেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারদিকে বাঁধ দেন। এছাড়া পাম্প ও সাকার মেশিন দিয়ে সেচে পানি কমিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিরাপদ করেন। ফলে বিদ্যুৎ নিয়ে স্বস্তি ফিরে আসে সিলেটের মানুষের মাঝে। কিন্তু শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ভারীবর্ষণ শুরুর পর শনিবার সকাল থেকে পানি হু হু করে বাড়তে থাকে। বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম হুমকির মুখে ফেলে দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে সুনামগঞ্জ জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বানের পানি সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়ায় এই দুই উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।