ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধানের সরবরাহ বাড়ায় আশুগঞ্জে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ধানের দাম!

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২
  • ১৩৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে ধানের দাম। যার ফলে বাজারে কমতে শুরু করেছে চালে দামও। সরবরাহ ঠিক থাকলে ধানের দাম যেমন আরও কমবে, তেমনি চালের বাজারও স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছের পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, হাওরাঞ্চলে অকাল বন্যা ও শিলাবৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যায় আশুগঞ্জ মোকামে। আর তাই ভরা মৌসুমেও চড়া ছিল ধানের দাম। ২ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রত্যেক জাতের ধানে মণ প্রতি দাম কমেছে ৭০ খেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। আর চালের বস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে পূর্বের চেয়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কমে। মোকামে যোগান বাড়ায় এখন প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার মণ ধান বেচাকেনা হচ্ছে।

মো. মহিউদ্দিন নামে এক ধান ব্যাপারী বলেন, আম বিগত ৫ বছর ধরে ধানের ব্যবসা করি। স্থানীয় চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে আশুগঞ্জ মোকামে বিক্রি করি। বর্তমানে মোকামে ধানের সরবরাহ বেড়েছে। এর ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। মোকামে এখন বিআর-২৯ ধানের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।

চাল ব্যবসায়ী হাসান ইমরান বলেন, ঢাকার বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার থেকে প্রচুর পরিমাণ চাল সংগ্রহ করায় চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। তবে সরকার যদি ওইসব কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখে, তাহলে চালের বাজার স্থিতিশীল থাকবে।

আশুগঞ্জ উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হেলাল সিকদার বলেন, ধানের বাজার দর বেড়ে গেলে এর প্রভাব চালের বাজারেও পড়ে। বেশি দামে ধান কিনলে চালও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
এখন মোকামে ধানের সরবরাহ বাড়ছে। সেজন্য চালের দরও কমেছে। কৃষকরা বুঝতে পেরেছেন, ধানের দাম যা বাড়ার বেড়েছে। আর দাম বাড়বে না। সেজন্য তারা ধান ছেড়ে দিচ্ছেন। ধানের বাজার ঠিক থাকলে চালের বাজারও স্থিতিশীল থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকারিয়া মোস্তফা বলেন, ধান ও চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া ধানের মোকাম ও চালের বাজারগুলো মনিটরিং করতে ১৬টি টিম গঠন করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানের সরবরাহ বাড়ায় আশুগঞ্জে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ধানের দাম!

আপডেট টাইম : ১১:৩২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে ধানের দাম। যার ফলে বাজারে কমতে শুরু করেছে চালে দামও। সরবরাহ ঠিক থাকলে ধানের দাম যেমন আরও কমবে, তেমনি চালের বাজারও স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছের পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, হাওরাঞ্চলে অকাল বন্যা ও শিলাবৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যায় আশুগঞ্জ মোকামে। আর তাই ভরা মৌসুমেও চড়া ছিল ধানের দাম। ২ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রত্যেক জাতের ধানে মণ প্রতি দাম কমেছে ৭০ খেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। আর চালের বস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে পূর্বের চেয়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কমে। মোকামে যোগান বাড়ায় এখন প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার মণ ধান বেচাকেনা হচ্ছে।

মো. মহিউদ্দিন নামে এক ধান ব্যাপারী বলেন, আম বিগত ৫ বছর ধরে ধানের ব্যবসা করি। স্থানীয় চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে আশুগঞ্জ মোকামে বিক্রি করি। বর্তমানে মোকামে ধানের সরবরাহ বেড়েছে। এর ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। মোকামে এখন বিআর-২৯ ধানের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।

চাল ব্যবসায়ী হাসান ইমরান বলেন, ঢাকার বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার থেকে প্রচুর পরিমাণ চাল সংগ্রহ করায় চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। তবে সরকার যদি ওইসব কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখে, তাহলে চালের বাজার স্থিতিশীল থাকবে।

আশুগঞ্জ উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হেলাল সিকদার বলেন, ধানের বাজার দর বেড়ে গেলে এর প্রভাব চালের বাজারেও পড়ে। বেশি দামে ধান কিনলে চালও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
এখন মোকামে ধানের সরবরাহ বাড়ছে। সেজন্য চালের দরও কমেছে। কৃষকরা বুঝতে পেরেছেন, ধানের দাম যা বাড়ার বেড়েছে। আর দাম বাড়বে না। সেজন্য তারা ধান ছেড়ে দিচ্ছেন। ধানের বাজার ঠিক থাকলে চালের বাজারও স্থিতিশীল থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকারিয়া মোস্তফা বলেন, ধান ও চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া ধানের মোকাম ও চালের বাজারগুলো মনিটরিং করতে ১৬টি টিম গঠন করা হয়েছে।