হাওর বার্তা ডেস্কঃ পদ্মাসেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও আশানুরূপ টোল আদায়ের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত একটি কোম্পানি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেতু বিভাগ। নতুন কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলেও তারা এখনই পদ্মাসেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের দায়িত্ব নেবে না।
কারণ, আগামী পাঁচ বছরের জন্য এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) ও পদ্মাসেতু নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে (এমবিইসি)। তারা ৫ বছরে ৬৯৩ কোটি টাকা পাবে।
এর আগে, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের সময় ‘যমুনা সেতু’ বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছিল সরকার। পরে সেটিই সেতু কর্তৃপক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। একইভাবে পদ্মাসেতুর স্থায়িত্বকাল ১০০ বছর ধরে নতুন কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও পরামর্শক বাদে পদ্মাসেতু প্রকল্পে মোট জনবল ৯৫ জন। এর মধ্যে প্রকল্প পরিচালকসহ বড় পদে রয়েছেন ৩২ জন। তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে এসেছেন। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তারা নিজ নিজ বিভাগে ফিরে যাবেন। আবার কারো কারো চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় হয়ে যাবে।