হাওর বার্তা ডেস্কঃ মধুমতি নদীর ভাঙনে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে বাজড়া চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। বিদ্যালয়টি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামে মধুমতির তীরে অবস্থিত।
সেখানে আকস্মিকভাবে নদীতীরের প্রায় ১৫ কিলোমিটার অংশের পাকা সড়ক ধসে স্কুল ভবনটি কেঁপে ওঠে। এতে নদীর ভাঙন একেবারে স্কুলের কাছে চলে এসেছে।
বুধবার (১৫ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে আলফাডাঙ্গার পাঁচটি ইউনিয়নের বাড়িঘর, ফসলিজমি, কবর ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। ভাঙনের মাত্রা তীব্র হওয়ায় পাউবো সেখানে ১০ জুন থেকে জরুরিভিত্তিতে কিছু প্রতিরক্ষা কাজ শুরু করে।
স্থানীয়রা জানান, ডাম্পিংয়ের কাজ দেরিতে হওয়া ও ধীরগতি এবং অল্প সংখ্যক লোক দিয়ে কাজ চলতে থাকায় স্কুলটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
বাজড়া চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ১৯৯৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নদীর তীর ভাঙনে স্কুলভবন কেঁপে ওঠে।
এ বিষয়ে গোলাম রসুল মিয়া বলেন, স্কুলটি প্রতিষ্ঠায় আমি জমি দান করেছিলাম। সরকার সেখানে নতুন ভবন করে। নদীগর্ভে স্কুলটি চলে গেলে আমি খুব কষ্ট পাবো।
গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইনামুল হাসান বলেন, স্কুলটি বর্তমানে ঝুঁকির মুখে রয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার কর্মকার বলেন, স্কুলের ওই জায়গায় মধুমতি নদীর পানির গভীরতা অনেক বেশি। যার কারণে ধসে গেছে। সেখানে বালিভর্তি করে ৬ মিটার লম্বা জিও টিউব ও ১৭৫ কেজি ওজনের জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে।