ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান আ.লীগের রাজনীতি করা নিয়ে যা বললেন মান্না দোসরদের গ্রেফতার করা না গেলে মুক্তি পাবে না পুরান ঢাকার সাধারণ মানুষ সেলিমের চেয়েও ভয়ঙ্কর দুই পুত্র সোলায়মান ও ইরফান বাতাসে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি, ঢাকার অবস্থা কি শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল হলেই ভারতের স্বার্থ রক্ষিত’ ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ১২ বাংলাদেশি ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতার: প্রধান উপদেষ্টা আজিমপুরে ডাকাতির সময় অপহৃত সেই শিশু উদ্ধার

কাজে লাগছে না ৫০ কোটি টাকার বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলস্টেশন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
  • ১৩২ বার

 হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৫০ কোটি টাকা খরচ করে বানানো রেলস্টেশনে সারা দিনে থামে মাত্র দুটি লোকাল ট্রেন। উদ্বোধনের ৪ বছরে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি। স্থানীয় যাত্রীরা তেমন যোগাযোগ সেবা এখান থেকে পাচ্ছে না।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় হাইটেক সিটি স্টেশন। সৌন্দর্য, নির্মাণশৈলী আর আধুনিকতায় দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন স্টেশনটির নির্মাণ ব্যয় ৫০ কোটি টাকারও বেশি। সাভার ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চল কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিদিন ১০-১২ হাজার যাত্রীসেবার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও স্টেশনটি একেবারে ফাঁকা। বিপুলসংখ্যক যাত্রী থাকলেও বিশাল এই স্টেশনে সারা দিনে থামে ২টি ট্রেন, তাও আবার লোকাল ট্রেন। যেখানে প্রতিদিনের বরাদ্দ মাত্র ৭০-৮০টা টিকিট।

যাত্রী না থাকায় বন্ধ করে রাখা হয়েছে ভিআইপি অংশের কার্যক্রম। অবহেলা-অযত্নে নষ্ট হচ্ছে টিকিট কাউন্টার আর ভিআইপি রুমের যন্ত্রাংশ। ভেঙে গেছে অধিকাংশ কাচের দেয়াল। খুলে পড়েছে মাথার ওপরের মূল্যবান কাচের ছাদও।

বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রেজওয়ান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এত পাশে নান্দনিকভাবে গড়ে ওঠা রেলস্টেশন থাকতেও তাদের বাসে চলাচল করতে হয়। কেননা এখানে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন থামে না।

বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে লোকবল নিয়োগ দিলে সুফল মিলবে। কিন্তু এখনো এই স্টেশনের‌ লাইন সম্প্রসারণের কাজ বাকি রয়েছে। প্রতিদিন শত শত যাত্রী এসে ফিরে যায়।

এই‌ স্টেশনের পাশে রয়েছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থী এবং প্রযুক্তিকর্মীদের যোগাযোগে এই স্টেশন কাজে আসছে না। ২০১৬ সালে শুরু হয়ে এই স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে। ওই বছর ১ নভেম্বর জাংশনটি উদ্বোধন করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান

কাজে লাগছে না ৫০ কোটি টাকার বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলস্টেশন

আপডেট টাইম : ০৭:৩১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

 হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৫০ কোটি টাকা খরচ করে বানানো রেলস্টেশনে সারা দিনে থামে মাত্র দুটি লোকাল ট্রেন। উদ্বোধনের ৪ বছরে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি। স্থানীয় যাত্রীরা তেমন যোগাযোগ সেবা এখান থেকে পাচ্ছে না।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় হাইটেক সিটি স্টেশন। সৌন্দর্য, নির্মাণশৈলী আর আধুনিকতায় দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন স্টেশনটির নির্মাণ ব্যয় ৫০ কোটি টাকারও বেশি। সাভার ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চল কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিদিন ১০-১২ হাজার যাত্রীসেবার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও স্টেশনটি একেবারে ফাঁকা। বিপুলসংখ্যক যাত্রী থাকলেও বিশাল এই স্টেশনে সারা দিনে থামে ২টি ট্রেন, তাও আবার লোকাল ট্রেন। যেখানে প্রতিদিনের বরাদ্দ মাত্র ৭০-৮০টা টিকিট।

যাত্রী না থাকায় বন্ধ করে রাখা হয়েছে ভিআইপি অংশের কার্যক্রম। অবহেলা-অযত্নে নষ্ট হচ্ছে টিকিট কাউন্টার আর ভিআইপি রুমের যন্ত্রাংশ। ভেঙে গেছে অধিকাংশ কাচের দেয়াল। খুলে পড়েছে মাথার ওপরের মূল্যবান কাচের ছাদও।

বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রেজওয়ান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এত পাশে নান্দনিকভাবে গড়ে ওঠা রেলস্টেশন থাকতেও তাদের বাসে চলাচল করতে হয়। কেননা এখানে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন থামে না।

বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে লোকবল নিয়োগ দিলে সুফল মিলবে। কিন্তু এখনো এই স্টেশনের‌ লাইন সম্প্রসারণের কাজ বাকি রয়েছে। প্রতিদিন শত শত যাত্রী এসে ফিরে যায়।

এই‌ স্টেশনের পাশে রয়েছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থী এবং প্রযুক্তিকর্মীদের যোগাযোগে এই স্টেশন কাজে আসছে না। ২০১৬ সালে শুরু হয়ে এই স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে। ওই বছর ১ নভেম্বর জাংশনটি উদ্বোধন করা হয়।