হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘ফুল হচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক। আর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সৌন্দর্যের লীলাভূমি। আপনি যখন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন এবং প্যারাডাইস রোড পর্যন্ত হেঁটে যাবেন, দুপাশের ফুলের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।’
কথাগুলো বলছিলেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী তুহিন বাবু। তুহিনের মতো সবাইকে মুগ্ধ করছে ক্যাম্পাসের হরেক রকমের ফুল।
১৭৫ একরের এ ক্যাম্পাস প্রত্যেক ঋতুতে নতুনভাবে নিজেকে সাজিয়ে তোলে। সারাবছরই সৌন্দর্য আর স্নিগ্ধতা দিয়ে মাতিয়ে রাখে শিক্ষার্থীদের। গ্রীষ্মকালও যেন তার ব্যতিক্রম নয়। নানান রকম ফুল আর ফলে ছেয়ে গেছে ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রান্তর। কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, জারুল, ঘাসফুল, কদমফুল যেমন ক্যাম্পাসকে স্বর্গীয় রূপ দিয়েছে তেমনি তাল, কাঁঠাল, লিচু, আমসহ হরেক রকম মৌসুমি ফল তৃপ্ত করছে সবাইকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জয়শ্রী সেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রকমের ফুল আর মৌসুমি ফল শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকৃতির আশীর্বাদ। বাইরে থেকে যখন পর্যটকরা আসেন তারা এখানকার মনোরম পরিবেশে মুগ্ধ হন।’
সরেজমিন দেখা যায়, সবুজ-শ্যামল ক্যাম্পাসে সাদা ঘাসফুল ফুটে প্রকৃতিকে যেন নতুন রূপে সাজিয়েছে। সবুজ ঘাসের বুকে সাদা ঘাসফুলের দোল খাচ্ছে। জায়গায় জায়গায় গল্পে-আড্ডায় মেতে আছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে ক্যাম্পাসে মেগা প্রজেক্টের বাস্তবায়নাধীন থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু গাছ কাটা পড়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য কিছুটা হলেও নষ্ট হয়েছে বলে দাবি পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রিন ভয়েসের সভাপতি মোখলেসুর রহমান সুইট বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আগের তুলনায় জনসংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় পরিকল্পিতভাবে বনায়ন হয়নি। অথচ প্রচুর বৃক্ষনিধন করা হয়েছে। আমরা চাই ক্যাম্পাসে পরিকল্পনামাফিক বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ করা হোক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, মুজিববর্ষে আমরা বেশকিছু বৃক্ষ রোপণ করেছি। মেগা প্রজেক্টের কর্মকাণ্ড চলমান থাকায় এ কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে ক্যাম্পাসের সবুজায়ন বৃদ্ধি করতে আমরা বদ্ধপরিকর।