সূচক বাড়ার সঙ্গে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেনের পালে হাওয়া লেগেছে। গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৬০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫৯৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা, যা চলতি বছরে ডিএসইর সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ডিএসইতে সর্বোচ্চ ৫৬৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। অপরদিকে ১৯ মার্চ সর্বনিম্ন ১৬৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় কার্যদিবস থেকে শেয়ারবাজারে ধারাবাহিকভাবে সূচক ও লেনদেন বাড়ছে। ৫ মে ৩২৭ কোটি টাকা লেনদেন হলেও মাত্র চার দিনের ব্যবধানে তা প্রায় ৬০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। গত রোববার লেনদেন হয়েছিল ৫২০ কোটি টাকা। ৭৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেড়ে গতকাল তা হয়েছে ৫৯৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার ঘোষণার পাশাপাশি শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা অবসানে বিএসইসির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাসসহ সব মিলিয়ে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিদেশি মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণাও শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে।
এদিকে টানা পাঁচ দিনের মতো শেয়ারবাজারে সূচক বেড়েছে। গতকাল চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭২.১৬ পয়েন্ট। দিনশেষে সূচক গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৪৯.২২ পয়েন্টে। এর ফলে পাঁচ দিনের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ৩৯০ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬৬ শতাংশেরও বেশি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে। ৩১৪টি ইস্যুর মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ২০৮টির, কমেছে ৮৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দর।
অন্যদিকে গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসইএক্স ১৭০.২৫ পয়েন্ট বেড়ে দিনশেষে ৮১৮১.১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৬টির, কমেছে ৬২টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির।