কৃষি অর্থনীতিতে অবদান রাখবে জাপানি জাতের মিষ্টি আলু

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় কৃষি অর্থনীতিতে নতুন করে যোগ হলো ‘ওকিনিয়া’ ও ‘মুরাসাকি’ নামে জাপানি জাতের মিষ্টি আলু। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এ আলু চাষ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মানুষের খাদ্যের তালিকায় ভিন্ন চাহিদা ও পুষ্টিমান বিবেচনায় চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে জাপানি মিষ্টি আলু ‘ওকিনিয়া’ ও ‘মুরাসাকি’।

‘কন্দাল ফসল উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ থেকে জাপানি কাটিং, রাসায়নিক সার ও পরিচর্যা বাবদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ১৫ জন কৃষকের ২০ শতাংশ করে জমিতে মিষ্টি আলু চাষ হয়েছে।

সাধারণত দেশি জাতের মিষ্টি আলু শতক প্রতি এক থেকে দেড় মণ ফলন হলেও নতুন জাতের জাপানি এ আলুর ফলন হবে শতক প্রতি ৩ থেকে ৪ মণ।

পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের মিষ্টি আলু চাষি রফিক সেখ জানান, আমরা যৌথভাবে প্রথমবারের মতো জাপানি মিষ্টি আলু আবাদ করেছি। চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের সহায়তায় যৌথভাবে ৪০ শতক জমিতে জাপানি জাতের মিষ্টি আলু চাষ করা হয়েছে। দেশি আলুর চেয়ে ফলন হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আকর্ষণীয় রঙ হওয়ার কারণে এ জাতের আলুর চাহিদাও বেশি। আগামী মৌসুমে ১ একর জমিতে এ জাতের আলুচাষ করবো।

আরেক কৃষক আবুল হোসেন জানান, এবার ২০ শতক জমিতে জাপানি জাতের মিষ্টি আলুচাষ করেছি। উচ্চ ফলনশীল এ জাতের আলুচাষ করে লাভের মুখ দেখছি। আমার দেখাদেখি অন্য কৃষকরাও আগামী মৌসুমে এ জাতের আলুচাষ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ জানান, চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে জাপানি নতুন জাতের আলুচাষ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জাপানি এ মিষ্টি আলু উৎপাদন করে কৃষকরা খুশি। কৃষকরা এ মিষ্টি আলু চাষ করে খরচ বাদে ৩০-৩৫ হাজার টাকা করে লাভ করতে পারবেন।

আগামী মৌসুমে আরো অধিক জমিতে এ আলু চাষ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। এতে উপজেলায় মিষ্টি আলুর চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে। কৃষি বিভাগ থেকে স্থানীয় চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধাসহ উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর