ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজার মূলধন বাড়লো হাজার কোটি টাকা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • ২২৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত সপ্তাহ কিছুটা দরপতনের মধ্য দিয়ে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এরপরও গেলো সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। বাজার মূলধন বাড়লেও কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে।

গেলো সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেলো সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে এক হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা।

বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমে যায়।

বাজার মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৮টির। আর ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭৭ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।

বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩৭ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক এবং ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত বাছাই করা সূচকের পাশাপাশি কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গেলো সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছে ১৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৬ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৪৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৬৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বা ৪৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে চার হাজার ৫৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় দুই হাজার ৭৪৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৩১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বা ৪৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪৯ কোটি ৯০ লাখ ১৯ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেএমআই হাসপাতালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬০ কোটি ৮৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। ১৬০ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সোনালী পেপার, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ইউনিক হোটেল, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স এবং ডরিন পাওয়ার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাজার মূলধন বাড়লো হাজার কোটি টাকা

আপডেট টাইম : ১২:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত সপ্তাহ কিছুটা দরপতনের মধ্য দিয়ে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এরপরও গেলো সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। বাজার মূলধন বাড়লেও কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে।

গেলো সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেলো সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে এক হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা।

বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমে যায়।

বাজার মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৮টির। আর ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭৭ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।

বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩৭ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক এবং ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত বাছাই করা সূচকের পাশাপাশি কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গেলো সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছে ১৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৬ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৪৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৬৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বা ৪৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে চার হাজার ৫৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় দুই হাজার ৭৪৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৩১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বা ৪৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪৯ কোটি ৯০ লাখ ১৯ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেএমআই হাসপাতালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬০ কোটি ৮৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। ১৬০ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সোনালী পেপার, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ইউনিক হোটেল, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স এবং ডরিন পাওয়ার।