হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিনটি জেলা নিয়ে বিস্তৃত ছায়ার হাওরের মাউতি ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে রবিবার সকাল থেকে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। কৃষকরা জানান, এখনো এই হাওরে অর্ধেক জমির ধান কাটা বাকি। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, ৯৫ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ। এ হাওরে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার ৪ হাজার ৬৩৭ হেক্টরসহ কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার বোরো জমিও রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ভোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পিআইসি নির্মিত বাঁধটিতে ফাটল দেখা দেয়। পরে বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করতে থাকে। বাঁধ ভাঙার এ দৃশ্য দেখে হাজারো কৃষক তাঁদের অবশিষ্ট জমির ধান কাটতে হাওরে নামেন।
কৃষকরা জানান, অকৃষক কৃপেন্দ্র দাসকে সভাপতি করে ২২ লাখ টাকার এই প্রকল্প দেওয়া হয়। পিআইসি সভাপতি কৃপেন্দ্র সিলেটে অবস্থান করেন। তিনি কৃষকও নন। তাই বাঁধের কাজে নানা দুর্বলতা ছিল। এই দুর্বলতার কারণেই বাঁধ ভেঙে হাওরের কাটার বাকি অবশিষ্ট জমির ধান তলিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তারা।
শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু জানান, এই হাওরে সবচেয়ে বেশি জমি শাল্লা উপজেলার। কিছু জমি কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন ও কিছু জমি নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষকদের। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক ধান কাটা হয়েছে। বাকি অর্ধেক ধান কাটা বাকি আছে। এ অবস্থায় হাওর তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। এই প্রকল্পটি অন্য প্রকল্পের চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। তারপরও পানির চাপে রবিবার সকালে ভেঙে গেছে। এখন হাওরে পানি প্রবেশ করছে। তবে কৃষক এর মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ জমির ধান কেটে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।