ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্র্যাশ কালেক্টিং বটে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিষ্কার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:০৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
  • ১৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে সেন্ট মার্টিন অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় এ আকর্ষণীয় স্থানটিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিদেশিদের ভিড় থাকে। ভ্রমণকারীদের অসচেতনভাবে ময়লা ফেলার কারণে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির সৌন্দর্য দিনে দিনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিএসই ডিপার্টমেন্টে শিক্ষার্থীরা ‘ট্র্যাশ কালেক্টিং বট’ নামের একটি রোবট তৈরি করেছে। রোবটটি ট্র্যাশ সংগ্রহকারী এই রোবটটি নিজস্ব মাউন্ট করা ক্যামেরার সাহায্যে স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে আবর্জনা আলাদা করতে পারে এবং তারপরে এটি যা আবর্জনা হিসাবে চিহ্নিত করেছে তা নিজেই বিনে ফেলে দেয়। যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়া যায়, তবে এ বটটি একটি পরিষ্কার দ্বীপের জন্য মশালবাহক হতে পারে। গত ২০-২২ মার্চ, ২০২২ পাঁচজন প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে একটি সমাবেশ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিদর্শন করেছিল। সেখানে তারা দ্বীপে ক্রমাগত দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।

সিএসই ডিপার্টমেন্টের প্রধান রায়হান উল মাসুদ বলেন, ‘ভ্রমণের সময় আমরা প্রকৃতিকে নষ্ট করি। এনইউবি সিএসই বিভাগের দু’জন তরুণ উদ্ভাবক জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী ও মোহাম্মদ শাহরিয়ার মাহমুদের রোবটটি সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে প্লাস্টিক পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। রোবটটি মাটি থেকে প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করতে পারে। আমরা প্লাস্টিকের জিনিস ফেলে দিই যেগুলো মাটিতে অনেকাংশে মিশে যায় না।’

এনইউবি কম্পিউটার ক্লাবের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ সামসুদ্দোহা আলম বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে একটি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এর ফলাফল মানব ও সামুদ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। এই রোবটটি সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ অন্য যেকোনো দ্বীপের প্লাস্টিকসহ যে কোনো আবর্জনা সংগ্রহকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য এ উদ্ভাবন জাতীয় পর্যায়ে ব্যবহার করার জন্য সরকারি বা ব্যক্তি পর্যায়ে সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন।’

প্রচারাভিযানকারীদের একজন সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা এই সফরটিকে অন্যভাবে সাজিয়েছি। সমুদ্রকে নোংরা করার প্রবণতা বন্ধে আমরা একটি মানববন্ধন করেছি। আশা করা যায় মানুষ সচেতন হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ট্র্যাশ কালেক্টিং বটে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিষ্কার

আপডেট টাইম : ০৩:০৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে সেন্ট মার্টিন অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় এ আকর্ষণীয় স্থানটিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিদেশিদের ভিড় থাকে। ভ্রমণকারীদের অসচেতনভাবে ময়লা ফেলার কারণে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির সৌন্দর্য দিনে দিনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিএসই ডিপার্টমেন্টে শিক্ষার্থীরা ‘ট্র্যাশ কালেক্টিং বট’ নামের একটি রোবট তৈরি করেছে। রোবটটি ট্র্যাশ সংগ্রহকারী এই রোবটটি নিজস্ব মাউন্ট করা ক্যামেরার সাহায্যে স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে আবর্জনা আলাদা করতে পারে এবং তারপরে এটি যা আবর্জনা হিসাবে চিহ্নিত করেছে তা নিজেই বিনে ফেলে দেয়। যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়া যায়, তবে এ বটটি একটি পরিষ্কার দ্বীপের জন্য মশালবাহক হতে পারে। গত ২০-২২ মার্চ, ২০২২ পাঁচজন প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে একটি সমাবেশ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিদর্শন করেছিল। সেখানে তারা দ্বীপে ক্রমাগত দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।

সিএসই ডিপার্টমেন্টের প্রধান রায়হান উল মাসুদ বলেন, ‘ভ্রমণের সময় আমরা প্রকৃতিকে নষ্ট করি। এনইউবি সিএসই বিভাগের দু’জন তরুণ উদ্ভাবক জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী ও মোহাম্মদ শাহরিয়ার মাহমুদের রোবটটি সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে প্লাস্টিক পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। রোবটটি মাটি থেকে প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করতে পারে। আমরা প্লাস্টিকের জিনিস ফেলে দিই যেগুলো মাটিতে অনেকাংশে মিশে যায় না।’

এনইউবি কম্পিউটার ক্লাবের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ সামসুদ্দোহা আলম বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে একটি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এর ফলাফল মানব ও সামুদ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। এই রোবটটি সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ অন্য যেকোনো দ্বীপের প্লাস্টিকসহ যে কোনো আবর্জনা সংগ্রহকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য এ উদ্ভাবন জাতীয় পর্যায়ে ব্যবহার করার জন্য সরকারি বা ব্যক্তি পর্যায়ে সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন।’

প্রচারাভিযানকারীদের একজন সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা এই সফরটিকে অন্যভাবে সাজিয়েছি। সমুদ্রকে নোংরা করার প্রবণতা বন্ধে আমরা একটি মানববন্ধন করেছি। আশা করা যায় মানুষ সচেতন হবে।’