ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভার্চুয়াল কোর্ট প্রবর্তন প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার ফসল: আইনমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
  • ১১৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাকালীন ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভার্চুয়াল কোর্ট প্রবর্তনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তার ফসল বলে উল্লেখ করেছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত এনেক্স ভবনে আধুনিক ও নান্দনিক ১২তলা ‘বিজয়-৭১ ভবন’ উদ্বোধনকালে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বহুতল ভবনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন গণভবন ও সুপ্রিম কোর্টের স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে একযোগে এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, করোনা অতিমারির সেই মহাআতঙ্কের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ ও দিক নির্দেশনা, সুপ্রিম কোর্টের নিরলস পরিশ্রম, আইনজীবীদের সহযোগিতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা খুবই দ্রুত ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে পেরেছিলাম। যা বিশ্বের অনেক বড় বড় ও উন্নত দেশও তখন পারেনি।

করোনার ব্যাপক সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আদালতেও সাধারণ ছুটি চলাকালীন ২০২০ সালের ২১ মে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ নামের ওই অধ্যাদেশে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করা যাবে বলে জানানো হয়।

আনিসুল হক বলেন, কঠোর লকডাউনের দিনগুলোতে ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানির ব্যবস্থা করার কারণেই জেলখানায় বন্দি আসামিদের অতিরিক্ত চাপ এবং করোনার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এখন (শারীরিক ও ভার্চুয়াল) উভয় পদ্ধতিতে সমান তালে আদালত পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের অনেক কাজই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া পুরো বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজড করার জন্য আমরা দুই হাজার ২০০ কোটি টাকার ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আশা করছি, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পুরো বিচার বিভাগের কর্মদক্ষতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। এসময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভার্চুয়াল কোর্ট প্রবর্তন প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার ফসল: আইনমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাকালীন ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভার্চুয়াল কোর্ট প্রবর্তনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তার ফসল বলে উল্লেখ করেছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত এনেক্স ভবনে আধুনিক ও নান্দনিক ১২তলা ‘বিজয়-৭১ ভবন’ উদ্বোধনকালে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বহুতল ভবনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন গণভবন ও সুপ্রিম কোর্টের স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে একযোগে এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, করোনা অতিমারির সেই মহাআতঙ্কের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ ও দিক নির্দেশনা, সুপ্রিম কোর্টের নিরলস পরিশ্রম, আইনজীবীদের সহযোগিতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা খুবই দ্রুত ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে পেরেছিলাম। যা বিশ্বের অনেক বড় বড় ও উন্নত দেশও তখন পারেনি।

করোনার ব্যাপক সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আদালতেও সাধারণ ছুটি চলাকালীন ২০২০ সালের ২১ মে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ নামের ওই অধ্যাদেশে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করা যাবে বলে জানানো হয়।

আনিসুল হক বলেন, কঠোর লকডাউনের দিনগুলোতে ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানির ব্যবস্থা করার কারণেই জেলখানায় বন্দি আসামিদের অতিরিক্ত চাপ এবং করোনার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এখন (শারীরিক ও ভার্চুয়াল) উভয় পদ্ধতিতে সমান তালে আদালত পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের অনেক কাজই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া পুরো বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজড করার জন্য আমরা দুই হাজার ২০০ কোটি টাকার ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আশা করছি, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পুরো বিচার বিভাগের কর্মদক্ষতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। এসময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।