হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনা মহামারির কারণে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চাকরির বাজারে এই দু:সময়ে সুসংবাদ নিয়ে এলো বাংলাদেশ শিল্প ও কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক)।
সরকারি খরচে থাকা-খাওয়া আর প্রশিক্ষণ শেষে সনদের সঙ্গে চাকরির নিয়োগপত্র দিচ্ছে (বিটাক)। এছাড়া প্রশিক্ষণকালীন ভাতাও প্রদান করা হয়।
সোমবার (১৪ মার্চ) তৃতীয় ব্যাচের সনদপত্র ও নিয়োগপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ ও নিয়োগপত্র তুলে দেন বাংলাদেশ শিল্প ও কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসনে চৌধুরী।
সেপা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্পশিক্ষিত, দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া বেকার যুব-মহিলাদের ৯টি ট্রেডে তিন মাস মেয়াদি কারিগরি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিটাক।
এবারে তৃতীয় ব্যাচে প্রশিক্ষণার্থী নারীদের সংখ্যা ছিল ২২৫ জন। এর মধ্যে ৪টি প্রতিষ্ঠানে সরাসরি চাকরি পেয়েছেন ১১১ জন, বাকি ১১৪ জন বিভিন্ন কারণে আগ্রহ দেখাননি চাকরিতে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রাণ-আরএফএলে ৫১ জন, ডাচ-বাংলা প্যাকিং লিমিটেডে ৩২ জন, আকিজ গ্রুপে ১৮ জন এবং মেটাডোরে ১০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে উৎপাদন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের শিল্প খাতের অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখে চলেছে বিটাক। প্রশিক্ষণের পর প্রশিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আকিজ গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক কামবাম সুদর্শন রেড্ডিসহ পল্লব মৌলিক উপ-পরিচালক এইচআরএম আরএফএল, আবু হানিফ উপ-পরিচালক ডাচ বাংলা প্যাক লিমিটেড, শামসুদ্দোহা শিমুল পরিচালক এসিআই লজিস্টিক লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, প্রকল্প পরিচালক সেপা ফেজ-২।
সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮, ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ২০৩০ অর্জনে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত সেপা (ফেজ-২) প্রকল্পের মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ১৫ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যার মধ্যে ৭৫৬০ জন নারী এবং ৭৪৪০ জন পুরুষ।