ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণহানীর দায় ইসিকে নিতে হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৬
  • ৩১০ বার

সরকার তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও পুলিশ-বিজিবি দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

রিজভী বলেন, পুলিশ, বিজিবি, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মিলে প্রথম দু দফা ভোট ডাকাতির পর আগামী ২৩ এপ্রিল ৬২০টি ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি প্রার্থী, এজেন্ট ও সমর্থকরা যেন নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে না যায় সেজন্য বাড়ি বাড়ি হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী ‘সন্ত্রাসী’ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে গেলে হত্যা ও লাশ ফেলে দেয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হত্যা এবং লাশের সংস্কৃতি

আওয়ামী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। রক্তের ঘ্রাণ ছাড়া আওয়ামী লীগারদের যেন রাতের ঘুম হয় না।
তিনি বলেন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ এবং নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণহানীর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিব উদ্দিন ও তার কমিশনারবৃন্দ ইতিহাসে অপরাধী হিসেবেই বিবেচিত হবেন। কারণ প্রাণহানী ঠেকাতে কমিশন কোন ব্যবস্থা তো গ্রহণ করেইনি বরং উল্টো সরকারী রক্তাক্ত আক্রমণকেই আশকারা দিয়েছে। গত দুই দফা ইউপি নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত ৫০ এর অধিক ব্যক্তি নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন।

এই হত্যাকাণ্ড ও তাণ্ডবের জন্য জনগণ তাদের কোনদিন ক্ষমা করবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণহানীর দায় ইসিকে নিতে হবে

আপডেট টাইম : ১০:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৬

সরকার তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও পুলিশ-বিজিবি দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

রিজভী বলেন, পুলিশ, বিজিবি, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মিলে প্রথম দু দফা ভোট ডাকাতির পর আগামী ২৩ এপ্রিল ৬২০টি ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি প্রার্থী, এজেন্ট ও সমর্থকরা যেন নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে না যায় সেজন্য বাড়ি বাড়ি হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী ‘সন্ত্রাসী’ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে গেলে হত্যা ও লাশ ফেলে দেয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হত্যা এবং লাশের সংস্কৃতি

আওয়ামী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। রক্তের ঘ্রাণ ছাড়া আওয়ামী লীগারদের যেন রাতের ঘুম হয় না।
তিনি বলেন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ এবং নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণহানীর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিব উদ্দিন ও তার কমিশনারবৃন্দ ইতিহাসে অপরাধী হিসেবেই বিবেচিত হবেন। কারণ প্রাণহানী ঠেকাতে কমিশন কোন ব্যবস্থা তো গ্রহণ করেইনি বরং উল্টো সরকারী রক্তাক্ত আক্রমণকেই আশকারা দিয়েছে। গত দুই দফা ইউপি নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত ৫০ এর অধিক ব্যক্তি নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন।

এই হত্যাকাণ্ড ও তাণ্ডবের জন্য জনগণ তাদের কোনদিন ক্ষমা করবে না।