ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালমাই পাহাড়ে বাড়ছে বাঁশ চাষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০১৫
  • ৩৭৬ বার

কুমিল্লার ময়নামতি লালমাই পাহাড়ে বাড়ছে বাঁশ চাষ। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। চাষ খরচ কম আর বিক্রয় মুল্য চড়া হওয়ায় লাভবান হচ্ছে চাষিরা। বছরে কয়েক কোটি টাকার বাঁশ বিক্রি হয় এ পাহাড়ি এলাকা থেকে। নির্মাণকাজ আর বাড়িঘর তৈরিসহ গৃহস্থালির কাজেও ব্যবহার করা হয় বাঁশ। সরকিরি সহায়তা পেলে বাঁশ চাষ বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে রাজস্ব আয়ও।

সামাজিক  বন বিভাগ কুমিল্লার বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. তহিদুল ইসলাম জানান, লালমাই পাহাড়ে দুই হাজার পরিবার বাঁশ চাষ করে সাবলম্বী হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক বন বিভাগও বাঁশ চাষ শুরু করেছে।

প্রায় ৪শ’ বছর ধরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে চাষ হয়ে আসছে উন্নত মানের বাঁশ। গুণগত মান ভালো হওয়ায় চাহিদাও বেশ। শুরুতে কয়েক শতাংশ জমিতে চাষ করা হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাড়িয়েছে কয়েকশ হেক্টরে।

এখানকার মধ্যম বিজয়পুর, ছুরিবিদ্যা, কাইকাখলা, বড় ধর্মপুর, পশ্চিম কাচার, বাজারখলা, চৌধুরীখলা, ভাঙ্গামুড়া, জামমুড়া, বৈষ্ণবমুড়া, ধনমুড়াসহ আরও অনেক গ্রামে বাঁশের চাষ হয়। এসব গ্রামের ২ হাজার পরিবার বাঁশ চাষে লাভবান বলে জানান। প্রতি চাষি বছরে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার বাঁশ বিক্রি করেন।মাহল বাঁশ, কাটা বরাক, সিল বরাক, বোম বাঁশ, কনক বাঁশ, বারি বাঁশ,মুলিবাঁশসহ আরও অনেক বাঁশের চাষ হয়। প্রকারভেদে প্রতিটি বাঁশ আড়াইশ থেকে ৩শ টাকায় বিক্রি হয়। বছরের কয়েক কোটি টাকার বাঁশ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।

সামাজিক বনবিভাগ কুমিল্লা বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. তহিদুল ইসলাম জানান, লালমাই পাহাড় ঘিরে সবুজের বেস্টনিতে বাঁশ চাষ ব্যাপক সমাদৃত হচেছ। এখানকার ২ হাজার পরিবার বাঁশ চাষ করছে। পাশাপাশি বন বিভাগও চাষ শুরু করেছে।

লালমাই পাহাড়ে সবুজের বিপ­বে বাঁশ চাষ অর্থনৈতিক সাফল্যের পাশাপাশি অবদান রাখছে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়।  তাই এ ব্যাপারে বন বিভাগ সহায়তার হাত বাড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় বাঁশ চাষীদের।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

লালমাই পাহাড়ে বাড়ছে বাঁশ চাষ

আপডেট টাইম : ০৬:৫২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০১৫

কুমিল্লার ময়নামতি লালমাই পাহাড়ে বাড়ছে বাঁশ চাষ। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। চাষ খরচ কম আর বিক্রয় মুল্য চড়া হওয়ায় লাভবান হচ্ছে চাষিরা। বছরে কয়েক কোটি টাকার বাঁশ বিক্রি হয় এ পাহাড়ি এলাকা থেকে। নির্মাণকাজ আর বাড়িঘর তৈরিসহ গৃহস্থালির কাজেও ব্যবহার করা হয় বাঁশ। সরকিরি সহায়তা পেলে বাঁশ চাষ বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে রাজস্ব আয়ও।

সামাজিক  বন বিভাগ কুমিল্লার বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. তহিদুল ইসলাম জানান, লালমাই পাহাড়ে দুই হাজার পরিবার বাঁশ চাষ করে সাবলম্বী হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক বন বিভাগও বাঁশ চাষ শুরু করেছে।

প্রায় ৪শ’ বছর ধরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে চাষ হয়ে আসছে উন্নত মানের বাঁশ। গুণগত মান ভালো হওয়ায় চাহিদাও বেশ। শুরুতে কয়েক শতাংশ জমিতে চাষ করা হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাড়িয়েছে কয়েকশ হেক্টরে।

এখানকার মধ্যম বিজয়পুর, ছুরিবিদ্যা, কাইকাখলা, বড় ধর্মপুর, পশ্চিম কাচার, বাজারখলা, চৌধুরীখলা, ভাঙ্গামুড়া, জামমুড়া, বৈষ্ণবমুড়া, ধনমুড়াসহ আরও অনেক গ্রামে বাঁশের চাষ হয়। এসব গ্রামের ২ হাজার পরিবার বাঁশ চাষে লাভবান বলে জানান। প্রতি চাষি বছরে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার বাঁশ বিক্রি করেন।মাহল বাঁশ, কাটা বরাক, সিল বরাক, বোম বাঁশ, কনক বাঁশ, বারি বাঁশ,মুলিবাঁশসহ আরও অনেক বাঁশের চাষ হয়। প্রকারভেদে প্রতিটি বাঁশ আড়াইশ থেকে ৩শ টাকায় বিক্রি হয়। বছরের কয়েক কোটি টাকার বাঁশ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।

সামাজিক বনবিভাগ কুমিল্লা বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. তহিদুল ইসলাম জানান, লালমাই পাহাড় ঘিরে সবুজের বেস্টনিতে বাঁশ চাষ ব্যাপক সমাদৃত হচেছ। এখানকার ২ হাজার পরিবার বাঁশ চাষ করছে। পাশাপাশি বন বিভাগও চাষ শুরু করেছে।

লালমাই পাহাড়ে সবুজের বিপ­বে বাঁশ চাষ অর্থনৈতিক সাফল্যের পাশাপাশি অবদান রাখছে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়।  তাই এ ব্যাপারে বন বিভাগ সহায়তার হাত বাড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় বাঁশ চাষীদের।