প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় অপহরণ চক্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে বাংলাদেশের তিনজন জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এই ঘটনায় বাংলাদেশে দায়ের করা মামলায় বিএনপিঘনিষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের পরদিন রোববার ধানমণ্ডির বিলিয়া মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান তিনি।
সরকারের বিরুদ্ধে লেখার জন্য শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বিএনপির অভিযোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা নাকচ করে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জয়ের ব্যক্তিগত তথ্য পেতে ওই দেশে থাকা এক বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার এফবিআইর এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়েছিলেন বলে দেশটির আদালতে প্রমাণিত হয়।
গত বছর সিজারকে দণ্ড দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের দেওয়া রায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলের ক্ষতি করার লক্ষ্যে তার ব্যক্তিগত তথ্য পেতে চেয়েছিলেন আসামি। তথ্য পাওয়ার পর তা বাংলাদেশি ‘একজন সাংবাদিককে’ সরবরাহ করেছিলেন।
ওই রায়ের পর জয়কে অপহরণের চক্রান্তের অভিযোগ তুলে ঢাকার পল্টন থানায় পুলিশ একটি মামলা করে, সেই মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জয়ের প্রাণনাশে যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্তকারীদের সঙ্গে শফিক রেহমানসহ দুই-তিনজনের যোগাযোগ ছিল জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে কথোপকথন হয়েছে, এমন দুই-তিনজন বাংলাদেশের ভেতরে ছিলেন।
‘তাদের মধ্যে আমরা অনুমান করছি, কথোপকথনের জের ধরে শফিক রেহমানের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ ছিল। সেই জন্যই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’
বাকি দুজন কারা- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, একজনকে হয়ত জানেন, একটি পত্রিকায় সম্পাদক, তিনি কারা অন্তরীণ রয়েছেন।
অন্যজনের বিষয়ে বলেন, ‘সময়মতো জানতে পারবে’।
কারাবন্দি সম্পাদকের নাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী না জানালেও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখাবেন তারা।