ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরের বাধ ভেঙ্গে ফসলহানী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৬
  • ৪৯৮ বার

কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাত ও শিলা ঝড়ে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে সিলেট অঞ্চলের মানুষ। বিভিন্ন স্থান থেকে ফসলহানির খবরে হাওরাঞ্চলে শুরু হয়েছে সামাল-সামাল ডাক। সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের মারাদারিয়া ও আলনির দাইড় ফসল রক্ষা বাঁধটি ভেঙে ৭০৪ একর জমির বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম সরকার বিকালে ইত্তেফাককে জানান বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে হাওরে বাধগুলো হুমকির মুখে। এরই মধ্যে জগন্নথপুরের নলুয় ও দিরইর বরাম হাওরের বাঁধ উপচে পানি ঢুকেছে। এ দুটি হাওরে ১০ হাজার ৪ শত হেক্টর জমিতে এবার বোরো ফলে। কৃষকরা দ্রুত ধান কেটে নিচ্ছে কোমর পানি, গলা পানি থেকে। তবে বাধ ভেঙ্গে বা উপচে যাতে হাওরে আর পানি না ঢুকতে পারে সে জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ হাজার বস্তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ গুলোতে মাঠি ভরে হাওর রক্ষা বাধে ঠেক দেয়া হবে। হাওরাঞ্চলে বৃষ্টি ও ঢলের পানি বিপদসীমার ১ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার ভোর থেকে রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নগরীর অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুন:স্থাপিত হয়নি।

সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থা আরো কয়েকদিন চলতে পারে। আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে আগামী ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল ঝড় ও বৃষ্টিবাদল বাড়তে পারে। তাই কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্র্শ দেয়া হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক জাহিদ হোসেন জানান, ১ হাজার হেক্টর বোরো ফসল শিলাবৃষ্টি ও হাওর রক্ষা বাধ ভেঙ্গে নষ্ট হয়েছে। ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, দিরাই উপজেলার অন্তত ১৩টি হাওরের বাধ ভেঙ্গে ফসলহানী হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরের বাধ ভেঙ্গে ফসলহানী

আপডেট টাইম : ১০:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৬

কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাত ও শিলা ঝড়ে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে সিলেট অঞ্চলের মানুষ। বিভিন্ন স্থান থেকে ফসলহানির খবরে হাওরাঞ্চলে শুরু হয়েছে সামাল-সামাল ডাক। সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের মারাদারিয়া ও আলনির দাইড় ফসল রক্ষা বাঁধটি ভেঙে ৭০৪ একর জমির বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম সরকার বিকালে ইত্তেফাককে জানান বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে হাওরে বাধগুলো হুমকির মুখে। এরই মধ্যে জগন্নথপুরের নলুয় ও দিরইর বরাম হাওরের বাঁধ উপচে পানি ঢুকেছে। এ দুটি হাওরে ১০ হাজার ৪ শত হেক্টর জমিতে এবার বোরো ফলে। কৃষকরা দ্রুত ধান কেটে নিচ্ছে কোমর পানি, গলা পানি থেকে। তবে বাধ ভেঙ্গে বা উপচে যাতে হাওরে আর পানি না ঢুকতে পারে সে জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ হাজার বস্তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ গুলোতে মাঠি ভরে হাওর রক্ষা বাধে ঠেক দেয়া হবে। হাওরাঞ্চলে বৃষ্টি ও ঢলের পানি বিপদসীমার ১ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার ভোর থেকে রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নগরীর অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুন:স্থাপিত হয়নি।

সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থা আরো কয়েকদিন চলতে পারে। আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে আগামী ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল ঝড় ও বৃষ্টিবাদল বাড়তে পারে। তাই কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্র্শ দেয়া হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক জাহিদ হোসেন জানান, ১ হাজার হেক্টর বোরো ফসল শিলাবৃষ্টি ও হাওর রক্ষা বাধ ভেঙ্গে নষ্ট হয়েছে। ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, দিরাই উপজেলার অন্তত ১৩টি হাওরের বাধ ভেঙ্গে ফসলহানী হয়েছে।