ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
আজ রবিবার তিনি ঢাকার একটি আদালতে এই আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ মিল্কি হত্যায় রফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেই সাথে এই মামলায় ১৮ আসামির বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, মো. আরিফ ওরফে আরিফ হোসেন, মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মো. শরীফ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে পাপ্পু ও ফাহিমা ইসলাম লোপা।
ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (সিআইডি) উত্তম কুমার বিশ্বাস ২৩ সেপ্টেম্বর এ অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আগের অভিযোগপত্রে ১১ আসামির সঙ্গে আরো সাতজনকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আর ৯ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
অভিযুক্ত ১৮ আসামি হলেন- সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, মো. আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, মো. সোহেল মাহমুদ ওরফে সোহেল ভূঁইয়া, মো. চুন্নু মিয়া, মো. আরিফ ওরফে আরিফ হোসেন, মো. সাহিদুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, মো. জাহাঙ্গীর মণ্ডল, ফাহিমা ইসলাম লোপা, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
আরো রয়েছেন, মো. শরীফ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে পাপ্পু, তুহিন রহমান ফাহিম, সৈয়দ মুজতবা আলী প্রকাশ রুমী, মোহাম্মদ রাশেদ মাহমুদ ওরফে আলী হোসেন রাশেদ ওরফে মাহমুদ, সাইদুল ইসলাম ওরফে নুরুজ্জামান, মো. সুজন হাওলাদার, ডা. দেওয়ান মো. ফরিউদ্দৌলা ওরফে পাপ্পু ও মো. মামুন উর রশীদ।