বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন গণজাগরণ মঞ্চের প্রধান ইমরান এইচ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানানোর কারণে তাকে সুবিধাবাদী এবং মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি তাকে সরকারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন। একইসাথে তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে আহবান জানান, ইমরান এইচ সরকারকে আনফলো ও আনফ্রেন্ড করতে।
সজীব ওয়াজেদকে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শফিক রেহমানকে গতকাল শনিবার ঢাকায় তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাংবাদিক রেহমান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
সজীব ওয়াজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস আমাকে অপহরণ
ও হত্যার ষড়যন্ত্রে শফিক রেহমানের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা উদ্ঘাটন করেছে। তারা এ বিষয়ে প্রমাণাদি আমাদের সরকারের কাছে দিয়েছে। তাকে এই প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে”।
এর আগে ইমরান এইচ সরকার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে লিখেছিলেন, “প্রবীণ ৮১ বছর বয়সী সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেফতার ও রিমান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শফিক রেহমানের রাজনৈতিক আদর্শের সাথে আমি একমত নই। ভিন্নমতের হলেই তাকে দমন করার যে নোংরা রাজনৈতিক অপকৌশল, এর একটা অবসান চাই।”
তিনি লিখেন, “দেশে যখন একের পর এক মানুষ খুন হচ্ছে, লেখক-প্রকাশক-বিদেশী থেকে শুরু করে মসজিদ-মন্দিরে ঢুকে মুয়াজ্জিন-পুরোহিতকে হত্যা করা হচ্ছে তখন খুনীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অপহরণের বায়বীয় অভিযোগে এমন একজন প্রবীণ সাংবাদিককে গ্রেফতার সত্যিই হতাশাজনক”।
ইমরান এইচ সরকারের এই স্ট্যাটাসের কয়েক ঘণ্টা পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে লিখেছেন, “আমি আশাই করেছিলাম বিএনপি এটা নিয়ে মিথ্যা বলার চেষ্টা করবে। যদিও, আমি আশ্চর্য হয়েছি ইমরান সরকারের বিষয়ে।
“সম্ভবত শেষ পর্যন্ত তার আসল চেহারাটা উন্মোচিত হলো। এটা দেখে মনে হচ্ছে সে আমাদের বেশির ভাগ সুশীলের মতই, আরেকটা সুবিধাবাদী এবং মিথ্যাবাদী। হয়তো বিএনপি তাকে পয়সা দিয়েছে। কে জানে,” বলেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, “যেভাবেই হোক, আমি তার প্রতি সব শ্রদ্ধা হারিয়েছি। তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে আমাদের সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।” আমি আমার সকল বন্ধু এবং ভক্তদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা তাকে অনুসরণ করেন তারা তাকে ফেসবুক থেকে আনফলো/আনফ্রেন্ড করুন। সে একজন অপরাধীর হয়ে কথা বলছে যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।”