ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পেতে কী করবেন?

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটাামিন ডি।  এই ভিটামিনের ঘাটতিতে নানা জটিলতা দেখা দেয়।  হাড়ক্ষয়, অস্টিওপরোসিস, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এগুলো ভিটামিন ডি’র ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে।

শীতপ্রধান দেশগুলোর মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি বেশি থাকার আশঙ্কা আছে।  বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মানুষের দেহে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি প্রধানত অসচেতনতা প্রসূত।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম।

দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে।  ২০ শতাংশের কম আমরা পেতে পারি খাদ্য উপাদান থেকে, যেমন- স্যালমন মাছ, পোনা মাছ, সামান্য কিছু থাকে মাগুড়-মলা মাছে, দুধ-ডিমে। ভিটামিন ডি পেতে হলে আমাদের সূর্যালোকের ওপরই নির্ভরশীল হতে হবে।

যেভাবে সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পেতে পারি

দিনের মধ্যভাগের সূর্যালোক বিশেষ করে গরমকালে সবচেয়ে উপযোগী হতে পারে। দুপুরের কাছাকাছি সময়ে সূর্য যখন সবচেয়ে ওপরের দিকে থাকে, তখন সূর্যরশ্মিতে যে অতি বেগুনি রশ্মি থাকে তা ভিটামিন তৈরিতে বেশি উপযোগী। অন্যদিকে সূর্য পূর্ব-পশ্চিম আকাশে হেলে থাকলে তাতে যে অতি বেগুনি রশ্মি থাকে তা পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে না। শীতকালের কম আর্দ্র ও কুয়াশাচ্ছন্ন দিনগুলোয় অথবা শীতপ্রধান দেশে অধিকাংশ সময় সূর্যালোকে যে অতি বেগুনি রশ্মি থাকে, তা ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

কতক্ষণ ধরে রোদ পোহাতে হবে তা নির্ভর করবে আপনি পৃথিবীর কোন জায়গায় অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য গবেষণাভিত্তিক তথ্য না থাকলেও পৃথিবীর অন্য দেশের গবেষণার সঙ্গে তুলনা করে প্রতিদিন নিয়মিত প্রায় ৩০ মিনিট রোদ পোহানো প্রয়োজন হতে পারে বলে ধরে নেয়া যায়।

এ সময় শরীরের কমপক্ষে ১৮ শতাংশে রোদ লাগতে দিতে হবে। দুপুরের কাছাকাছি সময় মানে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত রোদে যাওয়ার উপযুক্ত সময় হতে পারে। আর বছরের গরমের সময়টুকু অর্থাৎ এপ্রিল-সেপ্টেম্বর, রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হবে।

ত্বকের রং সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি তৈরিতে প্রভাব খাটাই। ত্বকের রং যত গাঢ় হয় (বেশি মেলানিন থাকে), তা সূর্যালোক থেকে অতি বেগুনি রশ্মি প্রবেশে ততবেশি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অর্থাৎ গায়ের রং যত কালো তাকে ততবেশি সময় রোদে থাকতে হবে।

অনেক খেলোয়ার ও বেশ কিছু নারী ত্বকে সানস্ক্রিন/সানব্লক ব্যবহার করে। এগুলো সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পেতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

যতটা সম্ভব বেশি সময় শরীরের বেশি অংশে সূর্যালোক লাগানোর চেষ্টা করবেন যাতে ভিটামিন ডি’র চাহিদা মেটানোর সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পেতে কী করবেন?

আপডেট টাইম : ১০:১৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটাামিন ডি।  এই ভিটামিনের ঘাটতিতে নানা জটিলতা দেখা দেয়।  হাড়ক্ষয়, অস্টিওপরোসিস, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এগুলো ভিটামিন ডি’র ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে।

শীতপ্রধান দেশগুলোর মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি বেশি থাকার আশঙ্কা আছে।  বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মানুষের দেহে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি প্রধানত অসচেতনতা প্রসূত।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম।

দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে।  ২০ শতাংশের কম আমরা পেতে পারি খাদ্য উপাদান থেকে, যেমন- স্যালমন মাছ, পোনা মাছ, সামান্য কিছু থাকে মাগুড়-মলা মাছে, দুধ-ডিমে। ভিটামিন ডি পেতে হলে আমাদের সূর্যালোকের ওপরই নির্ভরশীল হতে হবে।

যেভাবে সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পেতে পারি

দিনের মধ্যভাগের সূর্যালোক বিশেষ করে গরমকালে সবচেয়ে উপযোগী হতে পারে। দুপুরের কাছাকাছি সময়ে সূর্য যখন সবচেয়ে ওপরের দিকে থাকে, তখন সূর্যরশ্মিতে যে অতি বেগুনি রশ্মি থাকে তা ভিটামিন তৈরিতে বেশি উপযোগী। অন্যদিকে সূর্য পূর্ব-পশ্চিম আকাশে হেলে থাকলে তাতে যে অতি বেগুনি রশ্মি থাকে তা পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে না। শীতকালের কম আর্দ্র ও কুয়াশাচ্ছন্ন দিনগুলোয় অথবা শীতপ্রধান দেশে অধিকাংশ সময় সূর্যালোকে যে অতি বেগুনি রশ্মি থাকে, তা ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

কতক্ষণ ধরে রোদ পোহাতে হবে তা নির্ভর করবে আপনি পৃথিবীর কোন জায়গায় অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য গবেষণাভিত্তিক তথ্য না থাকলেও পৃথিবীর অন্য দেশের গবেষণার সঙ্গে তুলনা করে প্রতিদিন নিয়মিত প্রায় ৩০ মিনিট রোদ পোহানো প্রয়োজন হতে পারে বলে ধরে নেয়া যায়।

এ সময় শরীরের কমপক্ষে ১৮ শতাংশে রোদ লাগতে দিতে হবে। দুপুরের কাছাকাছি সময় মানে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত রোদে যাওয়ার উপযুক্ত সময় হতে পারে। আর বছরের গরমের সময়টুকু অর্থাৎ এপ্রিল-সেপ্টেম্বর, রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হবে।

ত্বকের রং সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি তৈরিতে প্রভাব খাটাই। ত্বকের রং যত গাঢ় হয় (বেশি মেলানিন থাকে), তা সূর্যালোক থেকে অতি বেগুনি রশ্মি প্রবেশে ততবেশি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অর্থাৎ গায়ের রং যত কালো তাকে ততবেশি সময় রোদে থাকতে হবে।

অনেক খেলোয়ার ও বেশ কিছু নারী ত্বকে সানস্ক্রিন/সানব্লক ব্যবহার করে। এগুলো সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পেতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

যতটা সম্ভব বেশি সময় শরীরের বেশি অংশে সূর্যালোক লাগানোর চেষ্টা করবেন যাতে ভিটামিন ডি’র চাহিদা মেটানোর সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।