ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিগারেট শিল্প রক্ষায় অবৈধভাবে আনা বন্ধ করতে হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০১৫
  • ৫৭৬ বার

অবৈধভাবে সিগারেট নিয়ে আসা বন্ধ না করলে দেশে সিগারেটের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্য দিকে সরকার রাজস্ব হারাবে বলে মনে করেন এ খাতের মালিকদের সংগঠন সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

 

সিগারেট শিল্প থেকে রাজস্ব আহরণ অব্যাহত রাখা এবং এ শিল্পকে বাঁচাতে অবৈধভাবে যাতে কেউ তা না আনতে পারে সে জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

 

শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা ।

 

আলোচনায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, সিগারেট ইন্ডাস্ট্রি সরকারের রাজস্ব আদায়ের বড় খাত। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা প্রতিবছরের বাজেটে কিছু প্রস্তাবনা দেই। আমাদের চিন্তা থাকে ব্যবসা আর সরকারের চিন্তা থাকে রাজস্ব আহরণের। তবে এনবিআর এমন সিদ্ধান্ত নেবে না যাতে সিগারেট কোম্পানিগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে।

 

তিনি বলেন, একটা সময় সিগারেট প্রচুর লাভজনক শিল্প ছিল। মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, সিগারেটের নেতিবাচক প্রচার ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি ও কর হার বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এ শিল্পের প্রবৃদ্ধি থেমে গেছে। তাই এ শিল্পের ওপর ধারাবাহিক কর বৃদ্ধির প্রবণতা কমাতে হবে।

 

গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা কর দিয়েই ব্যবসা করতে চাই। তবে সিগারেটের ওপর কর হার বাড়ার কারণে অনুপ্রবেশ বেড়ে গেছে। ফলে প্রিমিয়াম স্লাবে সিগারেট প্রতিবেশি দেশে ১৬ ডলারে বিক্রি হলেও দেশীয় বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২৩ ডলারে। বিক্রয়ের পার্থক্য প্রায় সাড়ে ৫০০ টাকার বেশি হওয়ায় অবৈধ পথে প্রচুর সিগারেট আসে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় উৎপাদনকারীরা।

 

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআরের সদস্য এনায়েত হোসেন বলেন, এনবিআরের কর আরোপের কারণে  অবৈধভাবে সিগারেটে আসে না। অবৈধভাবে আনা ঠেকাতে সবাইকে কাজ করতে হবে। এনবিআর শুধু দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী। সব কিছু সমন্বয় করেই কর আরোপ করা হবে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সিগারেট শিল্প রক্ষায় অবৈধভাবে আনা বন্ধ করতে হবে

আপডেট টাইম : ০৪:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০১৫

অবৈধভাবে সিগারেট নিয়ে আসা বন্ধ না করলে দেশে সিগারেটের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্য দিকে সরকার রাজস্ব হারাবে বলে মনে করেন এ খাতের মালিকদের সংগঠন সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

 

সিগারেট শিল্প থেকে রাজস্ব আহরণ অব্যাহত রাখা এবং এ শিল্পকে বাঁচাতে অবৈধভাবে যাতে কেউ তা না আনতে পারে সে জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

 

শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা ।

 

আলোচনায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, সিগারেট ইন্ডাস্ট্রি সরকারের রাজস্ব আদায়ের বড় খাত। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা প্রতিবছরের বাজেটে কিছু প্রস্তাবনা দেই। আমাদের চিন্তা থাকে ব্যবসা আর সরকারের চিন্তা থাকে রাজস্ব আহরণের। তবে এনবিআর এমন সিদ্ধান্ত নেবে না যাতে সিগারেট কোম্পানিগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে।

 

তিনি বলেন, একটা সময় সিগারেট প্রচুর লাভজনক শিল্প ছিল। মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, সিগারেটের নেতিবাচক প্রচার ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি ও কর হার বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এ শিল্পের প্রবৃদ্ধি থেমে গেছে। তাই এ শিল্পের ওপর ধারাবাহিক কর বৃদ্ধির প্রবণতা কমাতে হবে।

 

গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা কর দিয়েই ব্যবসা করতে চাই। তবে সিগারেটের ওপর কর হার বাড়ার কারণে অনুপ্রবেশ বেড়ে গেছে। ফলে প্রিমিয়াম স্লাবে সিগারেট প্রতিবেশি দেশে ১৬ ডলারে বিক্রি হলেও দেশীয় বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২৩ ডলারে। বিক্রয়ের পার্থক্য প্রায় সাড়ে ৫০০ টাকার বেশি হওয়ায় অবৈধ পথে প্রচুর সিগারেট আসে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় উৎপাদনকারীরা।

 

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআরের সদস্য এনায়েত হোসেন বলেন, এনবিআরের কর আরোপের কারণে  অবৈধভাবে সিগারেটে আসে না। অবৈধভাবে আনা ঠেকাতে সবাইকে কাজ করতে হবে। এনবিআর শুধু দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী। সব কিছু সমন্বয় করেই কর আরোপ করা হবে।