হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাত দিয়ে ছুলেই নুইয়ে পড়ছে লজ্জায়। এমন গাছ ঝোপঝাড়ে প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়। যা আমাদের দেশে লজ্জাবতী গাছ নামেই পরিচিত। তবে এর সাদা বা গোলাপি ফুলের এই বৈশিষ্ট্য নেই।
কয়েক বছর আগে তিব্বতের নাগচুরের একটি হ্রদের কাছে এমনই একটি ফুল আবিষ্কৃত হয়। যেটি আবিষ্কার করেন হুবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব রিসোর্সেস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের গবেষকদের একটি দল। স্পর্শ করার পর মাত্র সাত সেকেন্ডের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় ফুলটি। এজন্য একে বিশ্বের সবচেয়ে লজ্জাবতী ফুল বলা হয়েছে।
ফুলটির নাম জেন্টিয়ানা। চীনা বিজ্ঞানীরা কিংহাই-তিব্বত মালভূমিতে আবিষ্কৃত জেন্টিয়ানার চারটি প্রজাতির উপর পরিচালিত একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন, প্রাথমিকভাবে তারা ফুলের স্পর্শে দ্রুত সাড়া দেওয়ার ক্ষমতার উপর ফোকাস করে। উদ্ভিদকে সাধারণত স্থির জীব হিসেবে ধরা হয়। শুধু ব্যতিক্রম হলো মাংসাশী উদ্ভিদ, যেমন ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ। এগুলো কিছুর স্পর্শ পেলেই নিজেকে গুটিয়ে নেয়।
গবেষণায় তিব্বতের মালভূমিতে আবিষ্কৃত চারটি নতুন প্রজাতির জেন্টিয়ানা ফুলের প্রতিক্রিয়া দেখা হয়। এই ফুলগুলো মাত্র ৭ থেকে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
হুবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব রিসোর্সেস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক ডাই ক্যান বলেছেন, দলের সদস্যরা এলাকার অন্যান্য ছোট ফুলগুলোকেও স্পর্শ করে দেখেছিল। কিন্তু আর কোনো ফুলই এমন নুইয়ে পড়েনি। আসলে তারা এটা প্রমাণ করতে চেয়েছিল যে জেন্টিয়ানার নড়াচড়া সত্যি। তাদের হ্যালুসিনেশন না।
গবেষকরা বলছনে, এই ফুলটির এমন বৈশিষ্ট্যের কারণ হতে পারে বেশ কয়েকটি। পোকামাকড়ের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে তারা এমন করে। আবার হতে পারে ভ্রমর কে আকৃষ্ট করার একটি কৌশল এটি।
চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের উহান বোটানিক্যাল গার্ডেনের একজন গবেষক ওয়াং কিংফেং বলেছেন, প্ররোচিত প্রতিরক্ষা এবং পরাগায়নের জন্যই জেন্টিয়ানা ফুল কারও স্পর্শ পেলেই সাড়া দেয়।