ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ মদনে এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য

মাসিক ভাতা পেলেন মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় আহত দেলোয়ার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাইকমিশনের তৎপরতায় ক্ষতিপূরণ ও মাসিক ভাতা পেলেন মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় আহত দেলোয়ার (৩২)। তিনি এককালীন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। এছাড়াও আজীবন মাসিক ভাতা হিসেবে ৭৫০ রিঙ্গিত বা ১৫ হাজার ৩৭৫ টাকা করে বাংলাদেশে বসেই পাবেন তিনি।

জানা গেছে, এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো প্রবাসীকর্মী আজীবন পেনশন পাননি। এই প্রথম দেলোয়ারকে দিয়ে শুরু হলো বলে হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এদিকে দেশে অবস্থানরত দেলোয়ারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি দেশে আসার পরপরই ৭ লাখ ৭ হাজার টাকা পেয়েছেন। হাইকমিশন সহায়তা না করলে ক্ষতিপূরণ পেতেন না বলে তিনি হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

রেমিট্যান্সযোদ্ধা পাবনার মো. দেলোয়ার হোসেন ২০১৬ সালে ভাগ্যের চাকা বদলাতে মালয়েশিয়া যান। প্রথমদিকে ভালোভাবেই দিন যাচ্ছিল দেলোয়ারের। কাজে থাকাবস্থায় এক দুর্ঘটনায় তার বামহাত কেটে ফেলা হয়। এর মধ্যেই মালিকপক্ষ তড়িঘড়ি করে তাকে দেশে পাঠানোর চেষ্টা চালায়। বিমানের টিকিট করে দেলোয়ারের হাতে তুলে দেয় মালিকপক্ষ। ক্ষতিপূরণের টাকা চাইলে মালিকপক্ষ অসম্মতি জানায়।

কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে দেলোয়ার সোজা চলে যান হাইকমিশনে। মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। হাইকমিশন দেলোয়ারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ আদায়ে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। যতদিন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পরিশোধ না করবে ততদিন দেলোয়ার মালয়েশিয়ায় অবস্থান করবে বলে সিদ্ধান্তে অটল ছিল হাইকমিশন। এরপর হাইকমিশনের তৎপরতায় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি দেলোয়ারের কেটে ফেলা বাম হাতের জায়গায় কৃত্রিম হাত লাগিয়ে দেয়।

মালয়েশিয়ায় সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশন (সকসো) ২০২০ সাল থেকে বিদেশিকর্মীদের ক্ষতিপূরণ ও পেনশন নিয়ে কাজ করছে। সকসোর সদস্য হিসেবে বিদেশি কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে নিয়োগকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

হাইকমিশার মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, বাংলাদেশের প্রবাসীদের মেধা, শ্রম ও দক্ষতা বিশ্বে প্রশংসিত। একইসঙ্গে প্রবাসীরা অবস্থানকারী দেশ এবং নিজ দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। করোনাকালে সম্মুখসারির কর্মী হিসেবে বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় কাজ করেছেন। প্রবাসী বৈধ কর্মীদের নিয়োগকর্তা সোকসোর সদস্য না পেলে যেন হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রত্যেক কর্মীকে বিমার আওতায় আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৬ হাজার ১৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী সকসোর সদস্যপদ লাভ করেছেন। এরই মধ্যে ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকার বিমা আদায় করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অস্থায়ী অক্ষমতাবরণকারী ৩ হাজার ১৭৮ জনকে ৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা, স্থায়ী পঙ্গুত্ববরণকারী ৬৮ জনকে ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা, ২১৯টি মরদেহ পাঠানো বাবদ ২ কোটি ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত ৮৫০ জনকে ৯৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জের প্রামাণিক ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ পেয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

মাসিক ভাতা পেলেন মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় আহত দেলোয়ার

আপডেট টাইম : ০৮:৫০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাইকমিশনের তৎপরতায় ক্ষতিপূরণ ও মাসিক ভাতা পেলেন মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় আহত দেলোয়ার (৩২)। তিনি এককালীন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। এছাড়াও আজীবন মাসিক ভাতা হিসেবে ৭৫০ রিঙ্গিত বা ১৫ হাজার ৩৭৫ টাকা করে বাংলাদেশে বসেই পাবেন তিনি।

জানা গেছে, এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো প্রবাসীকর্মী আজীবন পেনশন পাননি। এই প্রথম দেলোয়ারকে দিয়ে শুরু হলো বলে হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এদিকে দেশে অবস্থানরত দেলোয়ারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি দেশে আসার পরপরই ৭ লাখ ৭ হাজার টাকা পেয়েছেন। হাইকমিশন সহায়তা না করলে ক্ষতিপূরণ পেতেন না বলে তিনি হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

রেমিট্যান্সযোদ্ধা পাবনার মো. দেলোয়ার হোসেন ২০১৬ সালে ভাগ্যের চাকা বদলাতে মালয়েশিয়া যান। প্রথমদিকে ভালোভাবেই দিন যাচ্ছিল দেলোয়ারের। কাজে থাকাবস্থায় এক দুর্ঘটনায় তার বামহাত কেটে ফেলা হয়। এর মধ্যেই মালিকপক্ষ তড়িঘড়ি করে তাকে দেশে পাঠানোর চেষ্টা চালায়। বিমানের টিকিট করে দেলোয়ারের হাতে তুলে দেয় মালিকপক্ষ। ক্ষতিপূরণের টাকা চাইলে মালিকপক্ষ অসম্মতি জানায়।

কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে দেলোয়ার সোজা চলে যান হাইকমিশনে। মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। হাইকমিশন দেলোয়ারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ আদায়ে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। যতদিন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পরিশোধ না করবে ততদিন দেলোয়ার মালয়েশিয়ায় অবস্থান করবে বলে সিদ্ধান্তে অটল ছিল হাইকমিশন। এরপর হাইকমিশনের তৎপরতায় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি দেলোয়ারের কেটে ফেলা বাম হাতের জায়গায় কৃত্রিম হাত লাগিয়ে দেয়।

মালয়েশিয়ায় সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশন (সকসো) ২০২০ সাল থেকে বিদেশিকর্মীদের ক্ষতিপূরণ ও পেনশন নিয়ে কাজ করছে। সকসোর সদস্য হিসেবে বিদেশি কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে নিয়োগকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

হাইকমিশার মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, বাংলাদেশের প্রবাসীদের মেধা, শ্রম ও দক্ষতা বিশ্বে প্রশংসিত। একইসঙ্গে প্রবাসীরা অবস্থানকারী দেশ এবং নিজ দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। করোনাকালে সম্মুখসারির কর্মী হিসেবে বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় কাজ করেছেন। প্রবাসী বৈধ কর্মীদের নিয়োগকর্তা সোকসোর সদস্য না পেলে যেন হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রত্যেক কর্মীকে বিমার আওতায় আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৬ হাজার ১৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী সকসোর সদস্যপদ লাভ করেছেন। এরই মধ্যে ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকার বিমা আদায় করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অস্থায়ী অক্ষমতাবরণকারী ৩ হাজার ১৭৮ জনকে ৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা, স্থায়ী পঙ্গুত্ববরণকারী ৬৮ জনকে ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা, ২১৯টি মরদেহ পাঠানো বাবদ ২ কোটি ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত ৮৫০ জনকে ৯৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জের প্রামাণিক ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ পেয়েছেন।