সরিষাবাড়ীতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক গ্রুপের লোকজন পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলা চালানোর ঘটনায় ৬ জন পুলিশ আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রাতে এসআই শফিউল আলম সোহাগ বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছেন (যার নম্বর ১০)। এতে নাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নামধারী ১৬ জন নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত আরো ৪০-৪৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ  জানান, পুলিশের কাজে বাধা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। এ ঘটনায় আটককৃত ১ নম্বর আসামী  মশিউর রহমান মোর্শেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য আসামীদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।

এদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় ভয়- ভীতি দেখানোর অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্থানীয় লোকজন কারখানা এলাকায় এ মিছিল বের করে।

উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তার করতে শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলামের লোকজন বিএনপি থেকে আসা মশিউর রহমান মোর্শেদের নেতৃত্বে যমুনা সার কারখানা এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পুলিশ বাধা দিলে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় পুলিশ মোর্শেদকে আটক করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তদন্তকেন্দ্রে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ, এসআই শফিউল আলম সোহাগ, এসআই সুলতান মাহমুদ, এএসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান আহত হন।

এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান, যমুনা সার কারখানা এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। যেকোনো ঘটনা মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কোনো অপকর্ম করার সুযোগ নেই। যারা করবে দায়ভার তাদের। বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর