বিশ্বের সেরা সব প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসম্পন্ন জায়গাকেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। বর্তমানে বিশ্বে ২২৯টি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট রয়েছে। যার মধ্যে ১১৪টি হেরিটেজ সাইট বর্তমানে হুমকির মুখে। খনি খনন, গ্যাস বা তেল উত্তোলনের মতো শিল্পায়ন কার্যক্রম পরিচালনার কারণে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক প্রাকৃতিক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হুমকির মুখে পড়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ থেকে শুরু করে পেরুর মাচু-পিচুর ইনকা দুর্গ পর্যন্ত বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড(ডব্লিউডব্লিউএফ) এর পর্যবেক্ষক দল বুধবার এসব কথা বলেন।
পর্যবেক্ষক দলের দাবি, জাতিসংঘ বিশ্বের সব হেরিটেজ সাইটগুলোতে তেল, গ্যাস, খনি, কাঠ উৎপাদন, মাছ ধরা ইত্যাদি কাজের জন্য ‘নিষিদ্ধ এলাকা’ ঘোষণা করা হোক।
ডব্লিউ ডব্লিউ এফের ডিরেক্টর জেনারেল মারকো ল্যাম্বারটিনি বলেন, এটা খুবই আশর্শ্চজনক ব্যাপার। আমরা এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা উন্নয়নবিরোধী নই। তবে প্রকৃতির ক্ষতি করে এমন পরিকল্পিত উন্নয়নবিরোধী।
জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি তরফ থেকে বলা হয়, ডব্লিউ ডব্লিউ এফ ১৮টি প্রাকৃতিক জায়গা চিহ্নিত করেছে। যেগুলো ‘বিপন্ন’ বা গুরুতর পর্যায়ে আছে। যদিও এই সংখ্যাটা আরও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের এভারগ্লেডস, ইকুয়েডরের গালাপাগোস আইসল্যান্ড, রাশিয়ার কামচাটকা আগ্নেয়গিরি ইত্যাদি জায়গাও মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে। এরমধ্যে শুধু এভারগ্লেডস হেরিটেজ কমিটির ‘বিপন্ন’ তালিকায় রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।