হাওর বার্তা ডেস্কঃ মালদ্বীপে মৎস্যজীবী হিসেবে ভালোই আছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। কাজের পরিবেশ ও পারিশ্রমিক নিয়ে সন্তুষ্ট অধিকাংশ কর্মী। তবে করোনার প্রভাবে অনেকের বেতন-ভাতা কমেছে বলে জানান তারা।
পর্যটন আর মৎস্য শিল্পের হাত ধরেই অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে নীল পানির দেশ মালদ্বীপ। মৎস্য শিকার করে সারা বিশ্বে বড় একটি অবস্থান করে নিয়েছে দেশটি। আর এই অবস্থানের পেছনে যারা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, যাদের হাতেই মালদ্বীপের মৎস্য শিল্প তারা হচ্ছেন বাংলাদেশি শ্রমিক।
এমনই এক বাংলাদেশি শ্রমিক জানান, প্রতিদিন সমুদ্রে যান মাছ ধরতে। দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ রুপিয়া দেওয়া হয়।
মালদ্বীপের এই খাতের বেশির ভাগ কর্মীই আসেন বাংলাদেশ থেকে। ভারত মহাসগরের গভীর থেকে মাছ শিকার করে দেশটির অর্থনীতিতে যেমন অবদান রাখছেন, তেমনি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে চাঙা রেখেছেন বাংলাদেশের অর্থনীতি।
অপর বাংলাদেশি শ্রমিক বলেন, তাদের সঙ্গে কাজ করতে কোনও সমস্যা নাই। সমস্যা একটাই বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে ডলার সংকটে পড়তে হয়। অনেক চড়া মূল্যে ডলার কেনা লাগে।
মালদ্বীপের মালে শহরের অন্যতম বড় মাছের বাজারের এমন হাজার হাজার বাংলাদেশি কাজ করছেন। মৎস্য শিল্পে কাজ করা অধিকাংশ শ্রমিকের বেতন অন্য শ্রমবাজারের তুলনায় বেশ ভালো।
আরেক শ্রমিক বলেন, এদেশে অনেক অবৈধ বাংলাদেশি আছেন। তাদের জন্য সরকার যদি কিছু করে তাহলে আমাদের খুবই ভালো।
তবে পরিশ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক না পেয়ে হতাশাও আছে কারও কারও।