হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতের বিভিন্ন স্থানে ফুটবল খেলে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠন ও অর্থ সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদান করা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে দেশের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ নেবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
সোমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাবো। এছাড়া যে সংগঠনের হাত ধরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভিত রচিত হয়েছিলো সেই বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতিকে অচিরেই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল মিলনায়তনে এক আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গর্বিত সদস্যবৃন্দকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অতঃপর স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের বিষয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন দলটির ম্যানেজার তানভীর মাজহারুল ইসলাম তান্না ও সদস্য সাইদুর রহমান প্যাটেল। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ। এ সময়ে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের এ মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গর্বিত সদস্যদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত৷ মহান মুক্তিযুদ্ধে ফুটবলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে তারা বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করতে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। একইসাথে তারা অর্থ সংগ্রহপূর্বক মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদান করেছিলেন। আজকে তাদের সংবর্ধনা প্রদানের মাধ্যমে আমরা নিজেরাই সম্মানিত বোধ করছি।’
নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে পুস্তক প্রকাশের সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গুরুত্ব অপরিসীম। তাদের কাছে আমরা চিরঋনী।’
অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যবৃন্দ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ, বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ ও ক্রীড়া সংগঠকগন উপস্থিত ছিলেন।